নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ বুধবার সকালে বাল্য বিয়ে নিরোধে চাটখিলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলমের আয়োজনে সাংবাদিক ও কাজিদের সাথে মতবিনিময় সভা চলছিল। এরই মধ্যে খবর এলো উপজেলার সাহাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল তার বাড়িতে। তাৎক্ষনিক ইউএনওর নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা কুলছুম মনির নেতৃত্বে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভুইয়া, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জহুর আহমেদ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তার, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মুন্না, শিক্ষা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন, পুলিশের উপ পরিদর্শক জাকির হোসেন, সাংবাদিক কামরুল কানন, সাইফুল রিয়াদ এবং সিরাজুল ইসলাম হাসানকে নিয়ে ছুটে যান ওই ছাত্রীর বাড়িতে।এ সময় তার স্কুলের শিক্ষক সহপাঠারা লাল পতাকা মিছিল নিয়ে হাজির সে ছাত্রীর বাড়ি সাহাপুর সর্দার বাড়িতে। পরে মাহমুদা কুলছুম মনি অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে বন্ধ করেন আরেকটি বাল্য বিয়ে।

মুজিব বর্ষে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম ঘোষনা দিয়েছেন চাটখিল উপজেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত করবেন। এই লক্ষ্যে তার নেতৃত্বে একের পর এক কার্যকর পদক্ষেপে পুরো উপজেলায় বাল্য বিয়ে বন্ধে এক ধরনের সামাজিক সচেতনতা ইতোমধ্যেই তৈরী হয়েছে।

প্রশংসিত হচ্ছেন ইউএনও এবং তার প্রশাসন।

চাটখিল সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আবু তৈয়ব প্রিয় নোয়াখালীকে বলেন, ইউএনও দিদারুল আলম বাল্য বিয়ে নিরোধে যেভাবে কাজ করছেন তা সারাদেশের জন্যে মডেল হতে পারেন। এ নিয়ে পুরো উপজেলায় ব্যপক সাড়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার কাজি ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভাটির সভাপতিত্ব করেছিলেন বাল্য বিয়ে বন্ধের ইউএনওর অন্যতম সহযোগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভুইয়া।

এই সভায় বক্তব্য রাখেন, ইউএনও দিদারুল আলম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম আলী তাহের ইভু,এসি ল্যান্ড মাহমুদা কুলছুম মনি, সাব রেজিস্টার সিরাজুল ইসলাম, চাটখিল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবর,সাধারন সম্পাদক আবু তৈয়ব, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম কানন, কাজি শিহাব উদ্দিন, মামুনুর রশিদ প্রমূখ। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তার,চাটখিল সাংবাদিক ফোরামের সদস্য সাইফুল ইসলাম রিয়াদ ও সিরাজুল ইসলাম হাসান উপস্থিত ছিলেন।