নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুস সামাদ করোনায় শনাক্ত হওয়ার দ্বিতীয় দিনের মাথায় প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করছেন।

আজা এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় করোনা কালীন সময়ে নোয়াখালীতে পুলিশের প্রশংসনীয় ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করছে অনেকেই।

বুধবার (১৭ জনু) দুপুরের দিকে ওসি সোনামুড়ীর সাইমুন হত্যা মামলার আসামী ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আলোকপাড়া এলাকায় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত টিপ ছুরি উদ্ধারে যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে করোনা কালীন সময়ে সরকারি আইন অমান্য করে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরির কারণে এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়বে। তেমনি সাধারণ জনগণ ও ওসির আচরণে করোনা কালীন সময়ে সরকারি আইন অমান্যে উৎসায়িত হবে।

খান আল আমিন নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন প্রশাসনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি ও দায়িত্ব শীল পুলিশ অফিসার হয়ে অসচেতন ভাবে চলাফেরা কাম্য নয় এই রকম চলতে থাকলে পাবলিক মনে করবে সরকার ঘোষিত ৫ লাখ টাকা প্রণোদনা পেতে পুলিশ করোনা পজেটিভ রিপোর্ট নিচ্ছে।

সোনাইমুড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন সুজন মন্তব্য করেছেন করোনা কারো জন্য অভীসাপ কারো জন্য আশির্বাদ।

এমডি রাজ নামের ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন প্রশাসন মানুষ’কে সতর্ক করে আর সেই প্রশাসনি আবার অন্যায় করে এটা কেমন কথা!!

সচেতন মহলের দাবি, ওসি করোনা পজিটিভ হওয়ায় তার সংস্পর্শে আসা সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো উচিত।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ধরনের কাজ করা ঠিক হয়নি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদ জানান, স্পর্শ কাতর বিষয় হওয়ায় তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানেও ওসি সাহেব অসুস্থ। এ জন্য ওসির মুঠোফোন রিসিভ করে তিনি কথা বলছেন ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার (১৫ জুন) ওসির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।