নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিমের বিদ্যালয় ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ১১ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

রোববার (৭ মে) বিকেল ৫টার দিকে মোহাম্মদপুর জনতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমপির পাশে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠানে এমপি ইব্রাহিমের পাশে বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট করা আওয়ামী লীগ নেতাদের দেখে ক্ষুব্ধ হন নির্বাচিত বিদ্রোহী চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল। পরে লোকজন নিয়ে এমপির সামনে প্রতিপক্ষের কয়েকজনের ওপর আক্রমণ করেন তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী মেহেদী হাসান বাহালুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা তাকে ভোট দেননি তাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। রোববার বিকেলে সংসদ সদস্যের পাশে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর এমপির সামনে বাহালুল চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ১০০-১৫০ জন কিশোর সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

হামলার সত্যতা স্বীকার করে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির উদ্দিন স্বপন পাটোয়ারী বলেন, এমপির সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান বাহালুল নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ দমনে কাজ করে আসছেন। বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি পরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের নিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন। আমরা এ হামলার জন্য চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

স্থানীয়রা জানান, হামলায় বাধা দিতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে বাহালুল চেয়ারম্যান বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় বাহালুলের লোকজন পুলিশের গাড়িতে হামলার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।

বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত ৫ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুলের মোবাইল ফোনে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, হামলায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে ১১ রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।