নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর একলাশপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিটের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আবুল কাশেম জিএস, মুক্তিযোদ্ধা সামছুদ্দিন, আবদুল মতিন ও মৃণাল কান্তি।

সমাবেশে বক্তারা জানান, গত সোমবার একলাশপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চার সাংবাদিক স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগের অনুসারীদের হামলার শিকার হন। ওই গ্রামে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তারের পর সোহাগ বর্তমানে সে জেলা কারাগারে রয়েছে। তার অপকর্ম নিয়ে ফলোআপ প্রতিবেদন তৈরির কাজে সোমবার জেলা শহর থেকে চার সাংবাদিক জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে যায়। এ সময় সোহাগের বাড়ির সামনে এবং সেখান থেকে ফেলার পথে তার আত্মীয় স্বজন ও অনুসারীরা দুই দফা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা নিউজ টোয়েন্টিফোরের একটি ক্যামেরা ও অন্য একটি ক্যমেরার মেমোরিকার্ড ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আবুল কাশেম জিএস প্রতিবাদ করলে সোহাগের অনুসারীরা তাকেও লাঞ্চিত করে।

ঘটনার দির রাতে নিউজ টোয়েন্টিফোর ও বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আকবর হোসেন সোহাগ বেগমগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও হামলায় কাউকে গ্রেপ্তার বা ছিনিয়ে নেওয়া সরঞ্জাম উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

মানববন্ধন ও সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাগণ সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় নিন্দা জানান এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান।

এর আগে মঙ্গলবার নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন।

এদিকে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি কামরুজ্জান শিকদার জানান, একলাশপুর পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগটি মঙ্গলবার রাতে নিয়মীত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।