সাইফুল ইসলাম রিয়াদঃ নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোর্ট ইউনিয়নে গভীররাতে ঘরে ডুকে হুমায়ন কবির (৪৫) ও তার স্ত্রী শেপালী বেগমকে (৩৭) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে একদল মুখোশধারী। হামলার ঘটনাটি পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘটেছে বলে ধারণা করছেন ভুক্তভোগীরা ও পুলিশ।

শনিবার ভোর ৪টার দিকে মানিকপুর গ্রামের মাইজের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন, ওই বাড়ির বদিউজ্জামানের ছেলে হুমায়ন কবির ও হুমায়নের স্ত্রী শেপালী বেগম। আহত দু’জনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে শেপালীর অবস্থা আশংকাজনক।

আহত হুমায়ন কবির জানান, ভোর ৪টার দিকে কেউ একজন দরজার বাইর থেকে তাদের দরজা খোলার জন্য বলে। এসময় তারা দরজা না খোলায় মুখোশধারীরা দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। মুখোশধারীদের মধ্যে ৪জন তাদের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে ঘাটের ওপর উঠে তাকে ও তাঁর স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা তাদের দুজনের হাত, পা, বুক, পেটসহ শরিরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তিনি আরও জানান, গত ৭-৮ মাস আগে তার প্রবাসী ভাগিনা আকরাম হোসেনের সাথে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার বাস্তিপুর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে মোবাইলে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওই মেয়েকে বাড়িতে নেননি তার বোনের পরিবার। বিষয়টি সমাধানের জন্য গত দেড় মাস ধরে ওই মেয়েকে নিজের বাড়িতে রাখেন হুমায়ন। গত রোববার ওই মেয়ের বড় বোন তাদের মোবাইলে হুমকি দেয় এক সপ্তাহের মধ্যে তার বোনকে আকরামের বাড়িতে না নিলে সমস্যা হবে। এ হামলার ঘটনার সাথে তাদের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন হুমায়ন।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হুমায়নের ভাগিনার বিয়ে ও তার স্ত্রীকে বাড়িতে না নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামগঞ্জ থেকে আসা হামলাকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আহতদের পরিবার এবং স্থানীয় লোকজন আমাদের জানিয়েছেন। হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।