বার্তা ডেস্কঃ বিএনপির দুর্গ হিসেবে খ্যাত লক্ষ্মীপুরের চারটি আসন গত নির্বাচনে চলে যায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের দখলে। এবারও উন্নয়নমূলক কাজকে পুঁজি করে আসন ধরে রাখার চেষ্টা দলটির নেতাদের। তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হলে জবাব দেবে জনগণ। মেঘনা নদীবেষ্টিত উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। দালাল বাজারের জমিদার লক্ষ্মী নারায়ণের নামানুসারে এ জনপদের নামকরণ হয়। কৃষির পাশাপাশি প্রবাসী আয় এ অঞ্চলের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।

৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত ১ হাজার ৫৩৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ জেলায় সংসদীয় আসন ৪টি। ১২ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৪ ভোটারের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন ৭১ হাজার ৬৫৩ জন।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে জেলার চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে মহাজোট মনোনিত প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে তরিকত ফেডারেশনের আনোয়ার হোসেন খান, দুইয়ে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমান এবং চারে আছেন বিকল্পধারার আব্দুল মান্নান।

আর তিনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান কামাল ও গোলাম ফারুক পিংকু এবং চারে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর- ২ ও ৩ আসনে আবুল খায়ের ভূইয়া, হারুনুর রশিদ হারুন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও শাহাবুদ্দিন সাবুকে মনোনিত করেছে বিএনপি।

আর ১ আসনে প্রার্থী হিসেবে আছেন, জোটের শরিক এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম এবং চারে জেএসডির আ স ম আব্দুর রব।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আগামী নির্বাচনে জনগণের পছন্দের প্রতীক হবে নৌকা। আর সুষ্ঠু ভোট হলে ধানের শীষই এগিয়ে থাকবে বলে দাবি বিএনপির।

ভোটাররা চান শান্তিপূর্ণ ভোট। যাতে পছন্দের যোগ্য প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন।

২০০৮ সালের ভোটে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনই পায় বিএনপি। তবে ২০১৪-তে ২টি আওয়ামী লীগ ও ২টি পায় জোটের শরিক।