বিশেষ প্রতিনিধিঃ হজ্বের জন্য টাকা জমা দিয়ে হজ্বে যেতে না পেরে এবং হজ্বের টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতারক শামিমের বিরুদ্ধে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ৬নং আমলী আদালত নোয়াখালীতে এন.আই.এক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা করেছে চাটখিল উপজেলার সুন্দর পুর গ্রামের শাহ আলম এবং রহিমা বেগমের পরিবার।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আসামিকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।

উল্লেখ্য, রোজিনা এয়ার ট্রাভেল এর ভুয়া মালিক সেজে প্রতারণা করে আসছে শামছুদ্দিন শামিম।

অনুসন্ধান করে জানা যায়, রোজিনা এয়ার ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং-১১২৭) এবং আল কাসেম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স নং-৬৫৬) চেয়ারম্যান/মালিক দাবী করা এই শামীম নোয়াখালীর চাটখিল বাজারের পৌর শপিং কমপ্লেক্সে এর নিচতলায় বি-৪০ নং দোকানে অফিস বানিয়ে এবং প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এর চাটখিল শাখায় রোজিনা এয়ার ট্রাভেল নানে চলিত হিসেব নং-৫১৫৩১০১০০০৩৯৭৬ খুলে এই ট্রাভেলসের নামে ধোঁকাবাজী করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।

নিজেকে হজ্জ এজেন্সির মালিক দাবী করে এই শামিম আকর্ষণীয় হজ্জ পেকেজ এর লিফলেট,ব্যনার,ফেষ্টুনে মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে হজ করতে ইচ্ছুক হাজিদের কাছ থেকে হজের টাকা নিয়ে অন্য এজেন্সি কাছে বিক্রি করে থাকে।

অভিযোগ আছে শামীম উন্নত মানের বাসা,স্বাস্থ্যসম্মত ভালো খাবার ও গাইড খরচের নামে নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিলেও কাংখিত সেবা পায়না হাজীরা ।

হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) এর তথ্য মতে রোজিনা এয়ার ট্রাভেল এর মালিক রোজিনা খাতুন এবং আল কাসেম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস মালিক রবিউল ইসলাম তারা উভয় স্বামী স্ত্রী তাদের সাথে শামিমের ব্যপারে যোগাযোগ করলে তারা হতবাক হয়ে বলে আমরা শামিম নামে নোয়াখালী এক জনকে চিনতাম সে ২০১২, ২০১৩ সালে আমাদের লাইসেন্স এর মাধ্যমে ১০/১৫ হাজি নিয়ে হজে যায় এর পরে তার সাথে আর যোগাযোগ হয় নাই সে কি ভাবে আমাদের ট্রাভেলস এর মালিক দাবী করতে পারে, আমি যত দ্রুত সম্ভব তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।