নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় ছাত্রদলের দুই নেতা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নোয়াখালীর চাটখিলে কামিল (এমএ) মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলায় সে সভা পণ্ড হয়ে যায়। উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পথচারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে বিএনপির সভা মঞ্চ ও একটি পিকআপ ভ্যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সভাস্থলে আসার পথে চাটখিল বাজারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাতে বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের নেতৃত্বে চাটখিল বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে দলের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, বিকেল ৩টায় চাটখিলে কামিল (এমএ) মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে উপজেলা বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। দুপুর ২টার দিকে মাদ্রাসা সংলগ্ন চাটখিল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বিএনপির নেতাকর্মীরা সভাস্থলে জড়ো হতে থাকে। কিছুক্ষণ পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন সেখানে হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে সভার মঞ্চটি ভেঙে দেয়। এরপর চাটখিল বাজারের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান সড়ক দিয়ে সোমপাড়ায় ফুটবল খেলতে যাওয়ার পথে হামলাকারীদের হামলার শিকার হয় একটি পিকআপ ভ্যানের আরোহীরা। গাড়িটি ভাঙচুর এবং গাড়িতে থাকা অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে জখম করে। এ ছাড়া উভয় দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত আরও ২০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘জুমার নামাজের পর অতর্কিত হামলা চালিয়ে সভা মঞ্চ, চেয়ার ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতি আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর বাজারসহ পথে পথে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়। হামলায় চাটখিলের সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হানিফ, যুবদল নেতা মাসুদ রানা, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুকসহ বিএনপির অন্তত ৩০-৩৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিনের অভিযোগ অস্বীকার করে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘চাটখিলের কোথাও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর কোনো হামলা হয়নি। হামলা হয়েছে এমন দাবি করে কেউ থানায় কোনো অভিযোগও করেনি।