সাইফুল ইসলাম রিয়াদঃ আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা প্রাপ্ত নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভা র্নিবাচন। ইতোমধ্যেইে ৬ জন মেয়র প্রার্থী ও ৯টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং নারীদের জন্যে ভাগ করা সংরক্ষিত ৩টি এলাকায় ১০ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচার প্রচারনা শেষ করেছে।

২৪ হাজার ৯শ ৩৬ জন ভোটার নিয়ে গড়া এই চাটখিল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্ধন্দিতা করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিন (ভিপি নিজাম) বিএনপির মোস্তফা কামাল, জাতীয় পাটির ফজলুল করিম বাচ্চু । তাদের সাথে রয়েছেন স্বতস্ত্র তিন প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা ছাইফ উল্যাহ, কার্তিক দেবনাথ ও নাজমুল ইসলাম।

বলা হয়ে থাকে—নৌকার ঘাঁটি গোপালগঞ্জ আর ধানের শীষের ঘাঁটি নোয়াখালী। সেই নোয়াখালীর মধ্যে চাটখিল পৌরসভা বিএনপির ‘অভেদ্য দুর্গ’ বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু গত পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী মোস্তফা কামাল মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ উল্লাহ পাটোয়ারী। তখনই বিএনপি’র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে কোটি টাকার বিনিময় মনোনয়ন প্রত্যাহারের।

এই র্নিবাচনে মূল প্রতিদ্বন্দিতা আওয়ামীলীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিনের (ভিপি নিজাম) নৌকা ও বিএনপি প্রার্থী মোস্তফা কামালের ধানের শীষের মধ্যে হওয়ার কথা থাকলে ও বিএনপি’র প্রার্থী মোস্তফা কামাল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিএনপি সমর্থিত সাধারণ ভোটাররা। এতে বিএনপি’র প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে বিএনপি স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ ক্লিন ইমেজধারী নেতা নিজাম উদ্দিন কে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়ায় সাধারন মানুষ বেশ খুশী সে সাথে নিজাম নিজেও বেশ আত্মপ্রত্যয়ী নিজের জেতার ব্যপারে। তিনি বলেন, ভোটারদের দারুন সাড়া পাচ্ছি। একটি সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের মাধ্যমেই পৌরবাসীর ভালবাসার প্রতিদান দিতে চাই।

আর নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে র্নিবাচন করা স্বতস্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যক্ষ মাওলানা ছায়েফ উল্যাহ বেশ কিছু ভোট পেতে পারেন বলে ধারনা করছেন পৌর বাসীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও কার্যত চাটখিলের অন্যান্য ইউনিয়ন থেকেও উন্নয়ন কাজে পিছিয়ে আছে এই পৌরসভা। তারা প্রত্যাশা করছেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এবার যিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন তার হাত ধরেই এটি সত্যিকারের প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় রুপান্তরিত হবে।