সাইফুল ইসলাম রিয়াদ: নোয়াখালীর চাটখিলে শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. সেকান্দরকে কয়েক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার সোমপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

এরপর দুপুরে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার এবং ছাত্র প্রতিনিধিরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শান্ত করেন।

এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মিঠু স্যারের মুক্তি চেয়ে বিভিন্ন প্লেকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে সোমপাড়া বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এতে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন  সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমুল হাসান মিঠু কে মিথ্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে আর এই ষড়যন্ত্রে জড়িত আছে প্রধান শিক্ষক মো. সেকান্দর। মানববন্ধন শেষে মিছিল নিয়ে তারা বিদ্যালয়ের প্রবেশ করে। এই দিন আন্দোলনের কারণে দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা যথা সময়ে শুরু করা যায়নি। 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, নাজমুল হাসান মিঠু (৪৫) সোমপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক। গত ১৫ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় যৌন নিপীড়নের একটি মামলা করা হয়। যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

আবদুল মান্নান নামের আন্দোলনকারী এক অভিভাবক বলেন, ‘মিঠু স্যারের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে কেউ কেউ তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। যে অভিযোগের কোনো ভিত্তি নাই। আমরা মিঠু স্যারের মুক্তি চাই।’

প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মান্নান কামরুল বলেন, ‘মিঠু স্যার দীর্ঘদিন থেকে এখানে শিক্ষকতা করছেন। উনার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অতীতে আমরা কখনো শুনিনি। উনি যদি অপরাধী হয় উনার বিচার হোক। যদি নিরপরাধ হয়, তাহলে ষড়যন্ত্রকারীদের মূলোৎপাটন করা হোক।’

চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের একাংশ আটককৃত শিক্ষকের মুক্তির দাবীতে আন্দোলন করছিল। ওখানে উপস্থিত সকলের সাথে কথা বলে আমরা তাদেরকে শান্ত করি।’

উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কোচিং-এ ডেকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নাজমুল হাসান মিঠু নামের এই শিক্ষককে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) গ্রেফতার করে চাটখিল থানা পুলিশ। একই দিন বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।