

নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ প্রতারক হুমায়ন কবির।(৩২)। সোনাইমুড়ী উপজেলার মুহিতখোলা গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সে। ভিসার নামে মানুষের সাথে প্রতারনা, নারীদের ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে টাকা আত্নসাৎ সহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। গত ৪ ফেব্রুয়ারী সে চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সাধুরখিল গ্রামের ২ সন্তানের জননী সাহিদা আক্তারকে(২৬) নিয়ে অজানার উদ্দ্যেশে পাড়ি দেয় সে।সাহিদাদের বাড়িতে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, তার চলে যাবার এতগুলো দিন পার হলেও ওই গৃববধুর ৩ বছর ও ৬ বছরের দুই শিশুর কান্না যেনো থামছেইনা। বিশেষ তার তার ৩ বছরের শিশু কন্যা সায়মা মাকে ছাড়া কোন আহার মূখে নিতেও চাচ্ছে না।
সাহিদার স্বজনরা জানালেন, প্রতারক হুমায়ন আর গৃহবধু সাহানা ফুফাতো – মামাতো ভাইবোন। সহিদার নামে তার বাবা ও স্বামী বিদেশ থেকে পাঠানো মোটা অংকের টাকা ব্যাংকে জমা থাকায় তার প্রতি দৃষ্টি পড়ে হুমায়নের। সে কুদৃষ্টি থেকে তাকে ফুসলিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় সে।
হুমায়নের মা জানালেন, তাদের ছেলে খুবই খারাপ প্রকৃতীর। কয়েক মাস আগেও সে অন্যএক গৃহবধুকে নিয়ে পালিয়ে যায় পরে শালিস বৈঠকে সেটার সমাধান করা হয়। এ ছাড়া তার নানা অপকর্মে তার মা ও পরিবার অতিষ্ঠ বলেও তারা সাংবাদিকদের জানান।
তার জন্মদাতা মা ও তার লম্পট ছেলে হুমায়নের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
সাহিদার পরিবার ও তার স্বামীর পরিবার বলছে, তারা এই ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন সে সাথে তারা প্রত্যাশা করছেন হুমায়ন সাহানাকে ফিরিয়ে দেবে। নইলে তারা শীঘ্রই নিয়মিত মামলা করবেন এবং তাকে খঁজে বের করতে সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
সাহিদার স্বামী পেয়ার হোসেন তার স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার কথা শুনে সৌদি আরব থেকে চাকুরী ছেড়ে চলে এসেছেন।
তিনি বললেন, আমার সন্তানদের কান্না আমার আর সহ্য হচ্ছেনা। তাদের কথা চিন্তা করেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখনো সাহানা ফিরে আসলে আমি তাকে গ্রহন করবো।
এদিকে সাহিদার বাবা মো: শাহজাহান মিয়া বলেছেন, যারা হুমায়ন কবিরের সন্ধ্যান দিতে পারবে তিনি তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করবেন।
পুলিশ বলছে, এ ব্যাপারে নিখোঁজ ডায়েরী হয়েছে। তারা চাইলে এটা নিয়মিত মামলা হয়ে যেতে পারে এবং প্রতারক হুমায়নকে পুলিশ গ্রেফতার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করবে।