

নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শিশু (৫) ও কবিরহাট উপজেলায় এক বিধবা নারীকে (৪৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় হেলাল উদ্দিন (২২) ও আরমান হোসেন লালু (২১) নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ওই নারী (৪৫) বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন সুবর্ণচর উপজেলার চর নোমান গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ও কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামের সমিতির দোকান এলাকার মনির হোসেনের ছেলে আরমান হোসেন লালু।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদ ইউনিয়নের চর নোমান এলাকার ওই শিশুটি তার বাবার সাথে নিজেদের মুরগির খামারে যায়। সেখানে খেলতে খেলতে সে ঘুমিয়ে পড়লে তার বাবা খামারের একটি কক্ষে তাকে ঘুমে রেখে বাড়ীতে চলে যান। এই সুযোগে রাতে খামারের কর্মচারী হেলাল শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট হেলাল পালিয়ে যায়।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৫বছরের এক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে। বৃধবার মধ্যরাতে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন এলাকার একটি মুরগীর খামারে এঘটনা ঘটেছে। শিশুটিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ র্ধষক হেলাল উদ্দিন (২২) কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেছে। গ্রেফতার হেলাল চর নোমান গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। এঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে বৃহষ্পতিবার দুপুরে (২টা) চরজব্বার থানায় হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন বলেন, রাতেই শিশুটিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হেলাল উদ্দিন নামের এক যুবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
অপরদিকে, গত কয়েক মাস আগে জেলার কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামের সমিতির দোকান এলাকায় এক বিধবা নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন অভিযোগে গত ৩অক্টোবর কবিরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে সূত্র ধরে মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী আরমান হোসেন লালুকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিধাবা ও কিছুটা মানুষিক প্রতিবন্ধী ওই নারী সমিতির দোকান এলাকায় বসবাস করতো। ছেলেরা বিভিন্ন এলাকায় কাজ করায় প্রায় সময় তিনি বাড়ীতে একা থাকতেন। গত কয়েক মাস আগে আরমান তার ৩ সহযোগীকে নিয়ে ওই বিদবার ঘরে ডুকে। এসময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আরমান বিধবাকে ধর্ষণ করে। ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। বর্তমানে তিনি ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিতা নারীর দায়ের করা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ৩অক্টোবর ওই নারীর ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।