
সাইফুল ইসলাম রিয়াদ: নোয়াখালীর চাটখিলে বিভিন্ন খালে অভিযান চালিয়ে ভেসাল জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার উপজেলার বীরেন্দ্র খালসহ বিভিন্ন খালে দিনব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন।
এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব উসমান। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাইলট, সেনাবাহিনীর সদস্য ও চাটখিল থানা-পুলিশের একটি দল অভিযানে সহযোগিতা করে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাইলট জানান, জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় খালে বিলে চড়ে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছের পোনা। কিছুদিনের মধ্যেই মাছগুলো বড় হবে। কিন্তু এরই মধ্যে এক শ্রেণির মৎস্য শিকারি চাটখিল উপজেলার খাল গুলোতে ভেসাল জাল ও সুতি জাল দিয়ে অবাধে পোনামাছ নিধন করছেন। পোনা মাছ সহ সকল ধরনের মাছ ধরার বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার বীরেন্দ্র খাল ও আশেপাশে কয়েকটি সংযোগ খালে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ছয়টি ভেসাল জাল জব্দ করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব উসমান বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের মত চাটখিল উপজেলা ও বন্যায় কবলিত হয়েছে বীরেন্দ্র খালটি হচ্ছে চাটখিল উপজেলার প্রধান খাল। কিছু অসাধু ব্যক্তি মাছ আটকে রাখার জন্য এই খাল সহ উপজেলার বিভিন্ন খালে ভেসাল জাল ও বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। যার কারনে উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলোর পানি ঠিকমতো নামতে পারছে না। সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে ছোট মাছ মারা হচ্ছে যার কারণে মাছের সংকট দেখা দিতে পারে। আবার বিভিন্ন স্থানে জাল পেতে রাখার কারণে দূরের বানভাসিদের কাছে স্বেচ্ছাসেবকেরা ত্রাণের নৌকা নিয়ে যেতে পারছেন না। এ কারণে বন্যাদুর্গতদের কাছে যথাসময়ে খাবার পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। আমরা কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু জাল জব্দ করেছি। সেই সাথে আমরা সকলকে সতর্ক করে দিয়েছি। জনসাধারণের সুবিধার্থে ভবিষ্যতে ও আমাদের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
