নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের বন্দুক যুদ্ধে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোখলেছুর রহমান ওরপে স্বপন ওরপে সুবুইল্লা ডাকাত (৩৮)। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গা পুর গ্রামের মৃত এসহাক মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামে এ বন্দুক যুদ্ধ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত সুবুইল্লা ডাকাতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এর আগে গত শনিবার গভীর রাতে উপজেলার আমিশা পাড়া ইউনিয়নের প্রদিপাড়া গ্রামে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে ১৩ মামলার আসামী রতন মিয়া (৩৫) নিহত হয়।
সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের দাবী বন্দুক যুদ্ধের পর ঘটনা স্থল থেকে একটি এল জি, তিনটি তাজা কার্তুজ ও তিনটি কিরিজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়। পুলিশ সদস্য আবু সাঈদ ও হাবিব । আহত দেরকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমদাদ হোসেন জানান বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ^র ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড এর পূর্ব নাটেশ^র এলাকায় এক দল ডাকাত বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল এমন সংবাদ পেয়ে সোনইমুড়ী থানা পুলিশের একটি টহল দল ঘটনা স্থলে যায়। রাত সাড়ে ১২টার সময় পুলিশের টহল দলটি নাটেশ^র ইউনিয়নের আবদুল্লা পুর এলাকায় পৌছায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ করে এলপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। আত্ম রক্ষার্থে পুলিশ ও পাল্ট গুলি ছুড়ে। রাত সাড়ে ১২টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত ডাকাত-পুলিশের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ডাকাত সর্দার মোখলেছুর রহমান ওরপে স্বপন ওরপে সুবুইল্লা ডাকাত গুলি বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে বেগমগঞ্জের দিকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে ঘটনা স্থল থেকে গুলি বিদ্ধ অবস্থায় সুবুইল্লা ডাকাত কে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্য রত  চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম গভীর রাতে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য মোখলেছুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। তিনি পলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে তিনি গলা ও বুকে গুলি বিদ্ধ হয়ে ছিলেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের মর্গে তার ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে।
চাটখিল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মিন্তানুর পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে এক ডাকাত নিহত হওয়ার বিষটি নিশ্চিত করে বলেন নিহিত ব্যক্তি আন্ত জেলা ডাকাত দলের সর্দার ছিল। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি আদালতের সাজা প্রাপ্ত আসামী। জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি দিনের বেলা আত্ম গোপনে থাকতেন ও রাতের বেলা বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করতেন।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ আলমঙ্গির হোসেন জানান নোয়খালী জেলাকে সন্ত্রাস, মাদক, অবৈধ অস্ত্র, ডাকাত ও জঙ্গীবাদ মুক্ত করতে পুলিশের অভিযান চলমান থাকবে। পর্যায় ক্রমে জেলার সব কয়টি উপজেলায় এ অভিযান চালানো হবে।