নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রতন মিয়া (৩২) নামের এক মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা-মাদকসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।
এসময় পুলিশের দুই এসআইসহ তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দেশীয় পাইপগান, চার রাউন্ড কার্টুজ ও দুই রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।

রবিবার সকালে নিহতের লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুদিপাড়া ভূঁইয়া বাড়ী এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত রতন মিয়া সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের রহমত উল্যার ছেলে। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল, উজ্জল ও কনেস্টবল জসিম উদ্দিন।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকালে সোনাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী রতন মিয়াকে ৩১ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছে অস্ত্র রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত দেড়টার দিকে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুদিপাড়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ীর খালপাড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ওইস্থানে থাকা রতনের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটলে রতন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রতন মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৩৩ রাউন্ড শর্টগানের ও ১৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ছুঁড়েছে। নিহত রতনের বিরুদ্ধে হত্যা, দস্যুতা, ছিনতাই, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৩টি মামলা রয়েছে।