সাইফুল ইসলাম রিয়াদ: নোয়াখালীর চাটখিলে ভুয়া ডাক্তারের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। আজ রোববার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত সেই ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। একইসাথে এই ভুয়া ডাক্তারের চেম্বার সীলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ মে রোববার চাটখিল পৌর বাজারের হাসপাতাল রোডের এই ভুয়া ডাক্তারের নিজস্ব চেম্বারে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত এই ভুয়া ডাক্তার চাটখিল পৌরবাজারের রক্তিম রোজ মেডিসিন পার্কের মালিক, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়া সাব বাড়ির খোরশেদের সন্তান নুর হোসেন পলাশ।

১৮ বছর বয়সী ভুক্তভোগী এই তরুণী জানান, নুর হোসেন পলাশ গত ২৬ মে রোববার ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকেল চারটার দিকে তার কিছু মেডিকেল রিপোর্ট দেখার জন্য তাকে তার চেম্বারে ডেকে নেন। চেম্বারে যাওয়ার পর তার মাস্ক খুলে তার নাকের কাছে কিছু একটা ধরে তাকে অবচেতন করে তার চেম্বারের পেছনে আলাদা কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। বারবার পা ধরে ক্ষমা চেয়েও ভুক্তভোগী এসময় রক্ষা পাননি।

ধর্ষণ শেষে অভিযুক্ত নুর হোসেন তাকে ছুরি দেখিয়ে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। যে কারণে প্রথম কয়েকদিন কাউকে না বললেও একদিন আগে ভুক্তভোগী তার মায়ের কাছে ধর্ষণের ঘটনা চিরকুটে লিখে দেন। বাবা জীবিত না থাকা এবং সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে পরিবারটি এই বিষয় এতোদিন কোথায়ও কোনো অভিযোগ করেনি।

ভুক্তভোগীর মা জানান, ‘আমি ছোট একটা চাকরি করে সংসার চালাই। যে আমার এই এতিম সন্তানকে এভাবে নির্যাতন করছে, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সোমবার সকালে আসামিকে বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা

এদিকে আসামী আটকের পর রোববার সন্ধ্যায় চাটখিল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান ভুয়া ডাক্তার পরিচয়ে চেম্বার করা এবং ফৌজদারি অপরাধের সংগঠন করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে চেম্বারটি সীলগালা করে দেন।