নোয়াখালীর বার্তা ডটকম: নোয়াখালীর চাটখিলের হালিমা দীঘির পাড়ে অবস্থিত চাটখিল পাঁচগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের (পিজি হাইস্কুল) ৩৯ ডিসিমেল সম্পত্তি নামমাত্র ভাড়ায় ভোগদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়,একসময় চাটখিল পিজি হাইস্কুলের শিক্ষকদের থাকার ব্যবস্থা না থাকায় স্কুলে বাহির থেকে আসা ভালো শিক্ষকরা বেশিদিন থাকতেন না। পরবর্তীতে এ সমস্যা সমাধানের লক্ষে চাটখিলের ব্যবসায়ি ও সমাজসেবক মরহুম হাসানুজ্জামান ভূঁইয়া সাবমিয়ার আম্মা মৃত হাসমতের নেছা উনার স্বামী মৃত হাজ্বী মমতাজুল হক ভূঁইয়ার পরামর্শে চাটখিল বাজারে ধামালীয়া মৌজায় বর্তমান চাটখিল কামিল মাদ্রাসা ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে এক প্লটে ৩৯ ডিসিমেল সম্পত্তি ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠানের নামে সাব কবলা রেজিষ্ট্রি করেদেন।পরবর্তীতে উক্ত যায়গায় ৫ টি সেমিপাকা ও টিনসেড ঘরকরে পিজি হাইস্কুলের শিক্ষকরা থাকতেন।

বিগত এক যুগের বেশি সময় ধরে অদৃশ্য এক মহলের কারসাজিতে এই ঘরগুলি নামে বেনামে কিছু মানুষ ভেগদখল করছে নামমাত্র ভাড়ায়। এরা কেউই পিজি হাইস্কুলের শিক্ষক বা কর্মচারী নয়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,লাইনের গ্যাস এবং বিদ্যুৎ এর সুবিধা থাকলেও ভোগদখল কারীরা ঘর প্রতি মাত্র ছয়শত থেকে এক হাজার টাকা মাসিক ভাড়া পরিশোধ করে। প্রত্যেকটি ঘরের পিছনে রয়েছে ফলফলাদির গাছ সহ ঘরের সমপরিমাণ খালি জায়গা। ভোগদখল কারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘর গুলিকে মেরামত না করে বাহিরের দিক থেকে অনেকটা জরাজীর্ণ ভাব করে রেখেছে যাতে ঘরগুলোর দিকে কারো সচেতন দৃষ্টি না পড়ে, ঘরগুলোর ভিতরে বেশ ফিটফাট এমনকি দু’এক টিতে টাইলসও আছে।আশপাশের হিসাব করলে দেখাযায় ঘরগুলোর বর্তমান ভাড়া কোনকোন টির কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা করে যে কেউ অনাশায়ে নিয়ে যাবে।

জমি দাত্রীর ছেলে মো.শামছু উদ্দিন ভূঁইয়া জানান,যে উদ্দেশ্যে আমাদের পারিবারিক সম্পতি পিজি হাইস্কুলকে দেওয়া হয়েছে বর্তমানে পিজি হাইস্কুল সম্পত্তিটি সে উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করায় সুবিধাবাদীরা সম্পত্তিটি একরকম নিজেদের দখলে রেখেছে এবং তারা এটাকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের দেয়া সম্পত্তির বাজার মূল্য প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা এতো মূল্যবান সম্পদ প্রতিষ্ঠান কেনো তাদের স্বার্থে ব্যবহার না করে স্বার্থান্বেষী মহলকে হাস্যকর ভাড়ায় ভোগদখলের সুযোগ দিচ্ছে এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি এ ব্যপারে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে পিজি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন জানান,আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কোন নতুন ভাড়াটিয়া প্রবেশ করেননি।ভাড়াটিয়া হিসেবে যারা আছেন তারা আগে থেকেই রয়েছেন।আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমি চাটখিলে নিবার্হী কর্মকর্তা হিসেবে নতুন এসেছি। বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।