বার্তা ডেস্কঃ নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এশিয়া প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় বুধবার রাতে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মো. মোমিন বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের আবদুল্যাপুর গ্রামের নিহত আবু বকরের ছেলে। বৃহস্পতিবার নিহত যুবকের লাশ জেনারেল হাসপাতালে সুরতহাল শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আবদুল্যাহ আল মামুন বাদী হয়ে হাসপাতালের এমডি, চিকিৎসক ও তার সহযোগীকে আসামি করে মামলা করেছেন। আবদুল্যাহ আল মামুন জানান, বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের আবদুল্যাপুর গ্রামের মো. মোমিন বুধবার বিকালে বিষপানে অসুস্থ হলে তাকে প্রথম সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক যুবককে ওয়াশ করলে কিছুটা সুস্থ হয়ে যায়।
সন্ধ্যার পর কিছু দালাল রোগীকে ভালো চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে এশিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ৮টায় হাসপাতালের চিকিৎসক জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও তার সহযোগী কেফায়েত উল্যাহ রোগীকে ভুল ইনজেকশন দিলে সে মারা যায়। ওই যুবকের মৃত্যু হলে চিকিৎসক তার সহযোগী ও এমডি হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের আবদুল্যাপুর গ্রামের মৃত আবু বকরের ছেলে মো. মোমিন। মো. মোমিন চট্টগ্রাম গার্মেন্টে চাকরির ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে। বুধবার বিকালে ওই যুবক তার স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে তর্ক-বির্তকের একপর্যায়ে বিষপান করে অজ্ঞান হয়ে যায়।
চিকিৎসক জসিম উদ্দিন চৌধুরী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বুধবার রাতে এশিয়া হাসপাতালে আমি যাইনি। অপরদিকে চিকিৎসক সহকারী কেফায়েত উল্যাহর মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করে বন্ধ থাকায় মতামত নেয়া যায়নি। এমডি এসএম ইব্রাহিম জানান, নিহত যুবকের ব্যাপারে স্বজনদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, সুরতহাল রিপোর্টে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।