নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী তারেক হোসেন (৩০) করোনায় আক্রান্ত ছিল। তারেক ছাড়াও নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১৩জন। এনিয়ে জেলায় মোট ৪৮জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা: মো. মোমিনুর রহমান।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, গত ৬মে সকালে হাসপাতালে নমুনা দিয়ে যায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী তারেক হোসেন। ওইদিন সন্ধ্যায় নিজ বাসায় মারা যান তিনি। মৃত তারেকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এছাড়া হাজীপুরের (৩০) একজন, কিছমত করিমপুরের (৭০) একজন, লক্ষ্মীনারায়ণপুরের (৮০), নারী (৩০) দুইজন, চৌমুহনী বাজারের ফেনী রোডের (৬০) একজন, মীরওয়ারিশপুরের (৩০) একজন ও চৌমুহনী পৌরসভার উত্তর নাজিরপুর গ্রামের (৩০) এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে চৌমুহনী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ীসহ দুইজন ব্যবসায়ী রয়েছেন। আক্রান্তদের বাড়ী লকডাউন ঘোষণা করে তাদের কে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াজ উদ্দিন জানান, গত ৩মে পাঠানো নমুনায় তিন শিশু ও দুই নারীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দেওটি এলাকার (৫৫), (২৩) ও (১০) এক শিশু রয়েছে। অপর দুই শিশু নদনা এলাকার (১২) ও (২)। আক্রান্তদের বাড়ী লকডাউন ঘোষণা করে তাদের কে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ৩ মে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ২০ বছর বয়সী ওই যুবক নমুনা দিয়েছিল। বর্তমানে তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে জেলা শহরের হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা। তার বাসা লকডাউন করে তাকে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা: মো. মোমিনুর রহমান বলেন, গত ৩, ৬ ও ৭ মে পাঠানো নমুনা গুলোর মধ্যে জেলার সদরে ১, বেগমগঞ্জে ৮ ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় ৫জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮জন। যার মধ্যে জেলার বেগমগঞ্জে ২০জন, সদরে ৭জন, সোনাইমুড়ীতে ৯জন, হাতিয়ায় ৫জন, সেনবাগে ১জন, কবিরহাটে ২জন, চাটখিলে ৩জন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন সোনাইমুড়ীতে মোরশেদ আলম (৪৫) নামে এক ইতালি প্রবাসী, সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮) ও বেগমগঞ্জে তারেক হোসেন (৩০) নামের এক ব্যবসায়ী। সুস্থ হয়েছে বাসায় ফিরেছেন সোনাইমুড়ীতে মৃত ইতালী প্রবাসীর স্ত্রী, চৌমুহনী চৌরাস্তার আপন নিবাসের এক নারী ও তার ছেলে।