নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ গতকাল ২৯ জুন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম মহাম্মদ আলী তরফদারের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১১ সালের এই দিনে নিজ বাড়িতে মৃত্যু বরন করেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষে মরহুমের নিজ বাড়ি ও পৌর বিএনপি ও তার অংগ সংগঠনের উদ্যোগে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত দোয়া মাহফিলে পৌরসভা বি এন পির সাধারন সম্পাদক দেওয়ান শামছুল আরেফিন শামীমের সঞ্চালনায় ও পৌর বিএনপি সভাপতি মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
জেলা বি এন পির সহ সভাপতি ও চাটখিল উপজেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বক্তব্য রাখেন উপজেলা বি এন পির সিনিয়র সহ সভাপতি শাহ্জাহান রানা, চাটখিল পৌরসভা বি এন পির সিনিয়র সহ-সভাপতি ঈসমাইল হোসেন বাহার, নোয়াখালী জেলা বি এন পির সদস্য ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি আনিছ আহম্মদ হানিফ, মরহুমের বড় ছেলে চাটখিল পৌরসভা বি এন পির সহ সাধারন সম্পাদক মহিন ঊদ্দীন তরফ্দার, নোয়াখালী জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি বেলায়েত হোসেন দিপু।
উপস্থিত ছিলেন, চাটখিল পৌরসভা বি এন পির সহ সভাপতি হারুনুর রশিদ, চাটখিল উপজেলা বি এন পির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শাহজান খাঁন শাজু, চাটখিল উপজেলা বি এন পির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম হোসেন টিপু, চাটখিল পৌরসভা বি এন পির সাংগঠনিক সম্পাদক নুর হোসেন মমিন, চাটখিল পৌরসভা যুবদলের আহবায়ক সুলতান বাবর, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল শেখ, চাটখিল পৌরসভা বি এন পির সহ প্রচার সম্পাদক বি কে হানিফ, নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, চাটখিল পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি রিগ্যান ভূঁইয়া, চাটখিল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মমিনুল ইসলাম, চাটখিল পৌরসভা ছাত্রদলের সহ সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মাহীর, প্রমূখ।

উল্লেখ্য যে, ১৯৪০ সালে নোয়াখালী জেলার চাটখিল বাজারের নিকটস্থ তপদার বাড়ীর এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন তিনি।

ব্যক্তিগত জীবনে ২ছেলে এবং ৪ মেয়ের জনক তিনি । তার দুই ছেলে, বড় ছেলে মোঃ মহিন উদ্দিন তপাদার, একজন রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী ও ছোট ছেলে মোঃ আলা উদ্দিন, পেশায় একজন সাংবাদিক।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জ জেলায় থাকা কালীন মুক্তিযুদ্ধাদের সহায়তা করার কারণে আল-বদর-রাজাকার বাহিনী তার দোকান পুড়িয়ে দেয়। তখন থেকে তার জীবন সংগ্রাম শুরু হয়।

যুদ্ধের পরে তৎকালীন রামগঞ্জ থানায় থাকা কালীন সর্ব প্রথম ১৯৮০ সালে ১৭নং পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৮৩ সালে ১৭নং পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপি এর সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ২৮ বছর যাবৎ চাটখিল বাজারের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হিসাবে সুনাম অর্জন করেন।

১৯৯০ সালে বাজার কমিটির নির্বাচনে সেক্রেটারী পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে একটানা ৯ বৎসর বাজার পরিচালনা করেন এবং তখন জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদাধিকার বলে ঐ কমিটির সভাপতি ছিলেন।

১৯৯৫ সালে চাটখিল মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে পুনরায় পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে তাকে আহবায়ক হিসাবে নির্বাচিত করেন।

২০০২ সালে পৌরসভা বিএনপির পূর্নাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য পদে নির্বাচিত হন । একই বছর ২০০৩ সালে নোয়াখালী জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে তিনি চাটখিল পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ।

এছাড়াও চাটখিল বড় মসজিদ ও মাদ্রাসা সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি । ২০০৭ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন তত্বাবদায়ক সরকারের প্রধান ফখরুদ্দিন আহম্মদ এর আমলে তাকে বিনা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভিতী প্রদর্শন করে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়।

জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর এই গুণী রাজনীতিবিদ ২০১১ সালের জুন মাসের ২৯ তারিখে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যু বরণ করেন।