নোয়াখালীর বার্তাঃ নোয়াখালীর কবিরহাটে এক বিএনপি কর্মীর স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় শনিবার সকাল ১০টার দিকে নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেফতার করে। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার জহির উদ্দিন ওরফে জাকির হোসেন মৃত এনামুল হকের ছেলে ও ধানশালিক ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি বলে জানিয়েছেন ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মোনাফ।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলা ধানশালিক ইউনিয়নের নবগ্রামের এক বিএনপির কর্মীকে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আগে পুলিশ গ্রেফতার করে। গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা জহির উদ্দিন ওরফে জাকের হোসেনের নেতৃত্বে ৪-৫ জন গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। তাদের বাধা দিতে গেলে গৃহবধূকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় তারা অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে জিম্মি করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে গৃহবধূর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
কবিরহাট থানার ওসি মির্জা মোহাম্মদ হাসান ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষা করাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগেএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ধানের শীষে ভোট দেয়ার জের ধরে রাত ১১টার দিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে সিএনজিচালকের স্ত্রী (৪০) গণধর্ষণের শিকার হন।
এ সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা গৃহবধূর স্বামী, ছেলেমেয়েকে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনার পরপরই গোপনে গৃহবধূ ও আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে গৃহবধূর দাবি, নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার জেরে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ ঘটনার সঙ্গে দলীয় সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এমন একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল।