নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীতে শিশু, নারী ও স্বাস্থ্য কর্মীসহ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫৫ জন। যা জেলার একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের রেকর্ড। জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ১৮২। যার মধ্যে শুধু বেগমগঞ্জ উপজেলায় ১০৪জন।
সোমবার দুপুরে আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৪৩, কবিরহাটে ৮, চাটখিলে ৩ ও সেনবাগে ১ জন রোগী রয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ত্রিশজনই চৌমুহনী পৌরসভার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী। আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হবে। নমুনা সংগ্রহ করা হবে তাদের সংস্পর্শে আসা স্বজনদের। উপজেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৪ জন।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, নতুন আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে হাসপাতালের একজন কম্পিউটার অপারেটর রয়েছেন। তাদের সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফজলুল হক বাকের অপু বলেন, যদিও ৯টি নমুনা পজিটিভ এসেছে তার মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। যার মধ্যে সুন্দলপুর ইউনিয়নের একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত একজন হেলথ ফোভাইডরের তৃতীয় নমুনা পজিটিভ এসেছে। এছাড়া ঘোষবাগ ইউনিয়নের আলীপুরে আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে আসা শিশু ও নারীসহ আরও ৬জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের গাজীরবাগে একজন ও ধানশালিক ইউনিয়নে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে আসা বাকিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। উপজেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে ১৯ জনকে মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে অস্থায়ী হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ১৩৩ জন নিজ নিজ বাড়িতে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বয়স্ক ১ ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১৭ জন। মৃত্যুর পর করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ জনের।
উপজেলাভিত্তিক আক্রান্তের সংখ্যা: বেগমগঞ্জে ১০৪ জন, সদরে ১৬ জন, কবিরহাটে ২০, চাটখিলে ১৬, সোনাইমুড়ীতে ১৩ জন, হাতিয়ায় ৫ জন, সেনবাগে ২ জন, কোম্পানীগঞ্জ ৫ ও সুবর্ণচর উপজেলায় ১ জন।