নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ সুপার সাইক্লোন ‘আম্পানের’ প্রভাবে নোয়াখালী জেলায় প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে তার সাথে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে হাতিয়ার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চিড়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের শতাধিক মৎস খামারের মাছ জোয়ারের পনিতে ভেসে গেছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপকূলে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। নোয়াখালী মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে হাতিয়ার নৌ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বুধবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েই চলছে।
জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, সুপার সাইক্লোন আম্পানের প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক ঢেউ-এর সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে সকল প্রকার নৌ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ৯ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল থাকায় উপজেলার ২৪০টি সাইক্লোন সেন্টারে ব্যাপক সংখ্যক লোকজন এসেছে দুর্যোগ মোকাবেলা প্রস্তুতি কমিটির ১৮৮টি ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুপুরের পর থেকে উপজেলার নদীর তীরবর্তী সুখচর, নলচিরা, চরঈশ্বর ও নিঝুম দ্বীপের নদীর তীরে বেড়ি বাঁধ চিড়ে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুপুর ১টার পর থেকে এসব এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। গত বছর বর্ষার মৌসুমে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় খুব সহজেই জোয়ারের পানিতে এসব এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। প্লাবিত গ্রামগুলোর ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
চরঈশ্বর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাশেদ উদ্দীন জানান, বেড়ির বাইরে এবং ভেতরে ৫ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।
নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বাবলু জানান, তার ইউনিয়নের ৩ কি: মি: বেড়িবাঁধ ভাঙা রয়েছে। বুধবার দুপুরে অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে ৩টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। রাতে অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।
নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দীন জানান, তার ইউনিয়নে ৮-১০ ফুট উঁচু হয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছ। এতে করে ৭টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। অনেক কাঁচা পাকা রাস্তা ভেঙে গেছে।