নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমান উল্যাপুর ইউনিয়নে আ’লীগের দু’প্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, দলীয় কোন্দল ও পূর্ব শক্রতার জেরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংষর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে ৪জন গুলিবিদ্ধ ও ৯জন আহত হয়েছে এবং দু’টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আমান উল্যাপুর ইউনিয়নের আমান উল্যাপুর বাজার সংলগ্ন পালোয়ান বাড়ির সামনে এ সংষর্ষের ঘটনা ঘটে।
ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদ গ্রুপ ও ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা খোকন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
গুলিবিদ্ধরা হচ্ছে, আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মহেশপুর গ্রামের আব্দুল মালেক’র ছেলে পারভেজ (২৭), ৪নং ওয়ার্ডের আইয়ুবপুর গ্রামের সফি উল্যাহ’র ছেলে মিজানুর রহমান পলাশ (২৬), ৮নং ওয়ার্ডের জয়নারায়ণপুর গ্রামের আবু ছায়েদ’র ছেলে হৃদয় (২২), ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জয়নারায়ণপুর গ্রামের নওশাদ ভূঞা’র ছেলে মো. নিশাত (২৫)। গুলিবিদ্ধ ৪ যুবক নোয়াখালী জেনারেল হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত এবং গুলিবিদ্ধরা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদ’র অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে, ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন’র অনুসারীরা ১৫-২০টি মোটরসাইকেলের একটি বহর নিয়ে খোকনের বাড়ি যাওয়ার পথে সভাপতি আরিফুর রহমান মাহমুদ’র অনুসারীরা পিছনের কয়েকটি মোটরসাইকেলকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা মোটরসাইকেলের বহর থেকে সভাপতির অনুসারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ৪জন গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্তত ৯জন আহত হয়। এ সময় সভাপতির অনুসারীরা পাল্টা ধাওয়া করলে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা ২টি মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়।
বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুলিবিদ্ধ ৪জন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি গ্রুপের লোক। অপরদিকে, সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ৩জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে তাদের আহত হওয়ার বিষয়টি আমরা যাচাই করে দেখছি।