নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মিজানুর রহমান (৪০)। গতকাল রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ছাতারপাইয়া পূর্ব বাজার এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
সেনবাগ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধার ভাষ্য, গত শনিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী এলাকার একটি বেকারির কর্মচারী এক কিশোরী (১৪) কর্মস্থল থেকে বের হয়ে গ্রামের বাড়ি কবিরহাট উপজেলায় যাচ্ছিল। পথে সোনাইমুড়ী এলাকার মিজানুর রহমান ওই কিশোরীকে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তোলেন। এরপর তাকে জোর করে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া এলাকায় নিয়ে অপর এক সহযোগীসহ রাতভর ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে গতকাল সেনবাগ থানায় একটি মামলা করে। মামলায় মিজানুর রহমান ও তাঁর অপর এক সহযোগীকে আসামি করা হয়।
ওসি আবদুল বাতেন মৃধা জানান, গতকাল সন্ধ্যায় ছাতারপাইয়া এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত মিজানকে গ্রেপ্তার করে সেনবাগ থানার পুলিশের একটি দল। এরপর রাত দুইটার দিকে তাঁকে নিয়ে তাঁর অপর সহযোগীকে গ্রেপ্তারের জন্য ছাতারপাইয়া পূর্ব বাজারে গেলে মিজানের সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। কিছুক্ষণ পর গোলাগুলি বন্ধ হলে ঘটনাস্থল থেকে মিজানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আবদুল বাতেন মৃধা আরও জানান, নিহত মিজানের লাশ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি হালকা বন্দুক (এলজি), একটি ছোরা ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মিজানের অপর সহযোগীকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।