নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ সাগরে নিম্নচাপের প্রভাব, টানা বর্ষণ ও অতিরিক্ত জোয়ারে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে চেয়ারম্যান ঘাট নৌরুটে বিআইডব্লিউটির সি-ট্রাক, ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোটসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সারাদেশের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাতিয়ার যোগাযোগব্যবস্থা। আটকা পড়েছে উপজেলাগামী হাজার হাজার যাত্রী। স্থানীয় প্রশাসন থেকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নৌযান চলাচল বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকছে।
হাতিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আলাউদ্দিন সুমন বলেন, সমুদ্র উপকূলে ৪নং হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে মেঘনা নদী বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সবধরনের নৌযান ও মাছ ধরার ট্রলারকে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ, চরঈশ্বর, নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধহীন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৫০ মে. টন ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার সকল সাইক্লোন সেল্টার খুলে দেওয়া হয়েছে। সিগনাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সিপিপির সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলা সার্বিক বিষয়ে মনিটরিং করতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।