নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে নোয়াখালীর চাটখিলে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামনারায়নপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেমের বাড়িতে।
এই বিষয়ে চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উচ্চ আদালতে করা মামলার বাদী ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ আদালত বিভাগের মোকাদ্দমা নং ৪৫৬/২০২০ এর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ এক আদেশে অত্র মোকদ্দমায় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোকাদ্দমা উভয়পক্ষের নালিশি ভূমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন এবং আরেকটি পিটিসন ৩০৮/২০২০ তারিখে ৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে এক আদেশে অত্র মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মুকাদ্দামায় উভয়পক্ষের নালিশে ভূমিতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদি আলী আকবর আদালতের আদেশ অমান্য করে নালিশী ভূমিতে অসম্পূর্ণ একটি ভবনে পুনরায় দরজা জানালা ও গ্রিলের কাজ সম্পন্ন করে।
বিষয়টি জানতে পেরে উচ্চ আদালতে করা মামলার বাদী ইঞ্জিনিয়ার আবুল কাশেম ও তার ভাই প্রবাসী ইউসুফ খান বিবাদী আলী আকবরকে আদালতের আদেশ অমান্য করে কাজ করতে নিষেধ করলে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকির ধমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করে।
সরজমিনে গিয়ে নালিশি ভূমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরে ও দালানের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার ও খালি জায়গায় কাটা দিয়ে বেড়া দেওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়।
এনিয়ে আলী আকবর এর সাথে প্রতিবেদক সাইফুল ইসলাম রিয়াদ কথা বললে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন এনং দাবি করেন দরজা জানালা গ্রিল গুলি আদালতের নিষেধাজ্ঞার পূর্বে লাগিয়েছেন। এ সময় তাকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা টানানোর সময়ে নির্মাণাধীন দালানের এর দরজা জানালা গ্রিল না-থাকার কিছু ছবি দেখান দেখালে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে খিলপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি সঠিক বলে নিশ্চিত করে বলেন অভিযোগ পরবর্তী সময়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে মহামান্য আদালতের নির্দেশ মেনে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার বিষয়ে নির্দেশ দেই।
এবং বিষয়টি নিয়ে যাতে করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না ঘটে সেদিকে পুলিশ বিশেষ দৃষ্টি রাখছে।