বিশেষ প্রতিনিধিঃ নোয়াখালীর চাটখিলে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে ভবন নির্মাণ করায় ভুক্তভোগী পরিবার সাংবাদ সম্মেলন করে সেই সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে এক দল দুষ্কৃতকারী।
গত ২৭ জুন চাটখিল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড আবদুল মজিদ মেম্বার (তোতা মিয়াঁ আঢ্য বাড়ির) সৌদি প্রবাসী আলী হোসেন এর স্ত্রী নার্গিস আক্তার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। আর এই সংবাদ সম্মেলন সংগ্রহ করতে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রিয়াদ সহ চাটখিল উপজেলার ও নোয়াখালী জেলার বেশ কয়েক জন সাংবাদিক প্রবাসীর বাড়িতে যায়।
সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সীমানা দেওয়াল ও ভবন নির্মাণকারী আবুল কালাম খোকার ছেলে সুফিয়ান সাংবাদিকদের নিউজ না করতে চাপ দেয় এতে সুবিধা করতে না পেরে এক পর্যায়ে সাংবাদিকদেরকে ৫০ হাজার টাকার অফার করে তখন সাংবাদিকরা সুফিয়ানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ফেরত আসে এবং সেই সংবাদটি দেশের শীর্ষ কয়েকটি স্যাটেলাইট টিভি সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশকিছু প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াতে প্রচার হয় এবং স্থানীয়ভাবে নিন্দার ঝড় ওঠে।
আর সুফিয়ান ধারণা করে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রিয়াদ এর কারণেই সবকয়টি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে তাদের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলনটি প্রচার হয়। এতেই ক্ষেপে গিয়ে সুফিয়ান জয় বাংলা টিভি, সাপ্তাহিক পূর্বশিখা ও চাটখিল খবর নামীয় কয়েকটি ভুয়া ফেসবুক আইডির মাধ্যমে এবং টাকার বিনিময় দুই একট অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রিয়াদের নামে অপপ্রচার চালানো শুরু করে। এই অপপ্রচারে নিন্দা জানিয়েছে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মিজানুর রহমান বাবর, চাটখিল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক আবু তৈয়ব, চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল কানন সহ চাটখিল উপজেলা ও নোয়াখালী জেলার অধিকাংশ সাংবাদিক।
সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রিয়াদ জানিয়েছে খুব শীঘ্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো কারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য যে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নার্গিস আক্তার জানান, তার স্বামী আলী হোসেনের দীর্ঘ ২৪ বছর সৌদি আরবে রয়েছে। সর্বশেষ তিনি ২ বছর ৬ মাস আগে দেশে ছুটিতে আসেন। তার স্বামীর প্রবাসে থাকায় সে যুবতী দুই মেয়ে ও দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকে। তিনি আরো জানান, তার শশুর এছলাম হক বাড়ীর জমি জমা নিয়ে ২০০৪ সালে একটি বন্টকের মামলা করেন। ওই মামলায় ২০০৯ সালের ফেব্রয়ারিতে আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে। অদ্যাবদী ওই নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। কিন্তু ওই মামলার ৬ নং আসামী আবুল কালাম আদালতের নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ অমান্য করে বিরোধপূর্ন ওই ভূমিতে স্থাপনা নির্মান অব্যাহত রেখেছেন। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, আবুল কালামরা সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাদের নানা রকম হুমকি ধমকিও দিচ্ছেন। এই হুমকি ধমকিতে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে ও দাবি করেছেন তারা।