নোয়াখালীর বার্তাঃ একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোয়াখালীর চাটখিলের কন্যা ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী। দেশের ইতিহাসে একমাত্র তিনিই টানা তিন বার স্পিকার নির্বাচিত হলেন।
স্পিকার নির্বাচিত হবার পর সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ করেন শিরীন শারমীন চৌধুরী।
এর আগে বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে আজ সংসদের প্রথম অধিবেশের শুরুতেই সংসদ সদস্যরা কণ্ঠভোটে স্পিকার নির্বাচন করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পিকার পদে শিরীন শারমিনের নাম প্রস্তাব করেন। প্রস্তাব সমর্থন করেন নবনিযুক্ত চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় কণ্ঠভোটে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।
ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বারিপাড়া গ্রামের সিএসপি অফিসার ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব রফিকুল্লাহ চৌধুরীর কন্যা তিনি। আর মা ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য প্রফেসর নাইয়ার সুলতানা। তার নানা ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি সিকান্দার আলী। তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীর পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। তাঁদের সংসারে এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এলএলবি (অনার্স) এবং ১৯৯০ সালে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে ‘রাইট টু লাইফ' অর্থাৎ, মানুষের জীবনের অধিকার, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক আইন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এবং সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ, মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ক বিভিন্ন মামলা পরিচালনা করেছেন। ২০০৮-২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন মামলার প্যানেল আইনজীবী ছিলেন।