নোয়াখালীর বার্তা ডটকম: নোয়াখালীর চাটখিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে গ্রামবাসী। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের কেশুরবাগ গ্রামে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কেশুরবাগ এলাকার কাজী বাড়ির পূর্ব পাশের বিল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের মিজানুর রহমান মহিন নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পাশ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামের হামিদ মুহুরীর বাড়ির মালেকা বেগমকে বিয়ে করেছেন। শ্বশুরবাড়ি থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে টাকা লেনদেনের কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারপর নিহতের স্ত্রী মালেকা বেগম ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রতিহিংসা বশত আসামি করায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষরা ঘরছাড়া। তাই গ্রামের নারীরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছে।
ঝাড়ু মিছিলে অংশ নেওয়া নারীরা বলেন, আমাদের বাড়ি মানুষেরা এবং এলাকার মানুষেরা নির্দোষ। কিন্তু মিজানুর রহমানের স্ত্রী মালেকা বেগম মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমাদের সন্তানেরা বাড়িতে নাই। তাই কোথায় কিভাবে আছে আমরা জানিনা। আমরা এই মিথ্যা মামলা থেকে সন্তানদের মুক্তি চাই। তাই মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করছি। আমরা ন্যায় বিচার চাই।
রোকেয়া বেগম নামের আরেক নারী বলেন, পরকীয়া থেকে এত কিছু হয়েছে। এলাকার মানুষের কি দোষ? তাদের কে মিথ্যা আসামি দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের নাম গুলো অব্যাহতি চাই। সেদিন বাড়ির কেউ সেখানে ছিল না। হয়রানি বন্ধ করে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মামলার এক নম্বর আসামি লিনা বেগমের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার ছেলের বউয়ের কাছ থেকে কৌশলে মিজানুর রহমান মহিন আড়াই লাখ টাকা নিয়েছে। সেদিন সে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। সে দেড় লাখ টাকা খেয়েছে আর কাদেরকে এক লাখ টাকা দিয়েছে। সে সব টাকা দিয়ে দেবে বলেছে। সে সময় মইনের বউ, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, শালারা ছিল। তারপর কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেখান থেকে মহিন পালিয়ে যাওয়ার পর তার আর খবর পাওয়া যায়নি। আমরা ধারণা করছি পালিয়ে যাওয়ার সময় সে কচুরিপানায় আটকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আনোয়ারা বেগম আরও বলেন, এই ঘটনায় আমাদের বাড়ির কেউ সেখানে ছিল না। কেউ এটার সঙ্গে জড়িত না। মামলায় নামে বেনামে আসামি করায় পুরুষরা এলাকা ছাড়া। অথচ বাড়ির কোনো ছেলে সেখানে ছিল না। আমরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই। যারা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি চাই।