নোয়াখালীর বার্তা ডটকম: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ৫ং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুলের বিরুদ্ধে বন্যা পরবর্তী ত্রানের চাউল আত্মসাধের অভিযোগ এনেছে এলাকাবাসী।
চাটখিল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তথ্য মতে গত আগস্ট সেপ্টেম্বর ২০২৪ বন্যা পরবর্তী সরকারি ত্রাণের বরাদ্দ থেকে ৫ বারে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ২০ টন (২০ হাজার কেজি) বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বারের তথ্য তথ্যমতে জানা যায় চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল ৫ বারের বরাদ্দকৃত চাউল তিনবার বিতরণ করেন।
সরজমিনে ও সকল মেম্বারদের তথ্য মতে, ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মাসুম রানা বলেন তার ওয়ার্ডে তিনবারে (১০+৫০+৬০) ১১০ মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সালেহ আহাম্মদ তার ওয়ার্ডে তিনবারে (৪০+৫০+৬০) ১৫০ জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার হারুন অর রশিদ তার ওয়ার্ডে তিনবারে (১০+৫০+৫৮) ১১৮ জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার কোরবান আলী বলেন তার ওয়ার্ডে তিনবারে (১০+৬৫+৬৫) ১৪০ জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম জগলু বলেন তার ওয়ার্ডে তিনবারে (৩০+৪৫+৫৪) ১২৯ জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার সোহাগ আলম পাটোয়ারী বলেন তার ওয়ার্ডে তিনবারে (১০+৬০+৭০) ১৪০ জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জাফর ইসলাম বলেন তার ওয়ার্ডে তিনবারে (৮+৫০+৫৫) ১১৩ জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার অহিদ উল্লাহ বলেন তার ওয়ার্ডে তিনবারে (১০+৬০+৭০) ১৪০ জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার ইউসুফ আলী বলেন তার ওয়ার্ডে তিনবারে (১০+৫০+৬০) ১১০ জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ১,২,৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার জান্নাতুল ফেরদাউস রুবি তার মাধ্যমে ৮ জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ৪,৫,৬নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রোকসানা আক্তার বলেন তার মাধ্যমে দুইবারে (৫+১৫) ২০ জনের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়। ৭,৮,৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার আমেনা বেগম বলে তার মাধ্যমে দুই বারের (১৫+১৫) ৩০ জলের মাঝে চাউল বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও ছাত্র প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১০ বস্তা (১০×৩০) ৩০০ কেজি চাউল বিতরণ করা হয়।
সর্বমোট ১২০৮ জনের মাঝে ১০ কেজি করে ১২০৮০ কেজি (প্রায় ১২ টন) চাউল বিতরণ করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ৫ বারে ২০ টন চাউল পাওয়ার পর ৩ বারে বিতরণের বিষয়টি স্বীকার করেন। তাছাড়া ২০ টন চাউলের মধ্যে বাকি ৮ টনের সঠিক হিসাব দিতে না পারলেও আত্মসাৎ এর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে চাটখিল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড) আকিব ওসমান কল রিসিভ করেন এবং তিনি জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি ট্রেনিংয়ে থাকায় গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি কোন লিখিত অভিযোগ পান নাই। লিখিত অভিযোগ পেলে সরকারি বিধি মোতাবেক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।