সাইফুল ইসলাম রিয়াদঃ একদিকে প্রচণ্ড-তাপদাহ, আরেকদিকে দিনে ও রাতে সমান তালে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। দুয়ে মিলে প্রাণ যেন ওষ্ঠাগত সব বয়সী মানুষের। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বত্রই লোডশেডিংয়ের যাতনা। চাটখিল পৌরসভায় বিদ্যুৎ নিয়ে যেখানে সীমাহীন ভোগান্তি চলছে, সেখানে ইউনিয়ন পর্যায়ের অবস্থা আরও অমানবিক, এটা অকপটেই বলা যায়।
এখানে কথিত আছে ঝড় তুফানের প্রয়োজন নাই আকাশে মেঘ দেখা দিলেই চাটখিল উপজেলায় বিদ্যুত হাওয়া হয়ে যায়, আবার কখনো কখনো প্রতি ঘন্টায় ১৫ থেকে ২০ বারেরও বেশী লোডশেডিং! এমনই ক্ষোভের মন্তব্য উপজেলার পল্লী বিদ্যুত গ্রাহকদের। এ নিয়ে উপজেলার প্রায় প্রতিজন গ্রাহকেরই ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। উপজেলার চাটখিল বাজারের ব্যাবসায়ী বেলাল হোসেন বলেন, সামান্য বাতাস হওয়ার পর আমাদের এলাকায় বিদ্যুত চলে গেলো আর ফেরার নাম পর্যন্ত থাকেনা এতে আমাদের দোকানের ফ্রিজে থাকা মালামাল নষ্ট হয়ে যায় ।
অফিসে বার বার জানানোর পরও পাইনি কোন সমাধান। বাজারের অন্য অন্য ব্যাবসায়ী ক্ষোভের সাথেই বলেন, এখন আর অভিযোগও করার রুচি নষ্ট হয়ে গেছে কারন অভিযোগের কোন মূল্য নেই বিদ্যুতের কর্তাদের কাছে। চাটখিল উপজেলার মত ছোট একটি উপজেলায় বিদ্যুতের দুটি উপকেন্দ্র থাকার পরও বিদ্যুতের এই সীমাহীন ভেল্কিবাজিতে লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাটখিলের দ্বায়িত্বে থাকা নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এর মোবাইলে বার বার কল দেয়া হলে ও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্বব হয় নাই।
এতে জনগনের চরম ভোগান্তি সমাধানের সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফলে আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বিরাজমান বিদ্যুৎ ভোগান্তি জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে।