তাবলিগ জামায়াতে বিভক্তিকে ইসলাম বিদ্বেষীদের চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে তাবলিগের কাজ স্ব-মহিমায় চলে আসছে। তাবলিগ জামায়াতে কোনো দ্বিধা-বিভক্তি ছিল না। বর্তমানে তাবলিগ জামায়াতে বিভক্তি ও হতাহতের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ইসলাম বিদ্বেষীদের চক্রান্ত বলে আমি মনে করি।
টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ দখল করতে উলামায়ে কেরাম, তাবলিগের সাধারণ সাথী এবং মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, টঙ্গীর মাঠে হতাহতের ঘটনা বড়ই দুঃখ ও বেদনাদায়ক। নিজেদের মধ্যে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা তাবলিগের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।
বাবুনগরী বলেন, দাওয়াত ও তাবলিগ হলো, ঈমান-আমল শিক্ষার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম। ঈমান-আমলের শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তাবলিগের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো পরস্পর জোড় মিল ও মুহাব্বাত পয়দা করা। তাই পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে কাজ করতে হবে।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রাহ.) হযরত মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী (রাহ.) এবং হযরত মাওলানা ইন’আমুল হাসান (রাহ.) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এ কাজ করতে হবে। তাহলে একাজের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ হবে।
তিনি বলেন, একে অন্যের ওপর হামলা করা তাবলিগী সাথীদের কাজ হতে পারে না। যারা মাঠ দখল করতে টঙ্গীতে নিরীহ তাবলিগী সাথী ও মাদ্রাসার ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে, তারা অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এ ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, যারা হতাহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার কাউকে হতে না হয়, সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বাবুনগরী বলেন, বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদের জন্য একটি বড় নেয়ামত। তাই আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে এবং তাবলীগ জামায়াতের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রাখতে সবার সার্বিক সহযোগিতা ও দুআ কামনা করি।