নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল আলোকিত নোয়াখালীর সম্পাদক আলা উদ্দিন এবং নোয়াখালী বার্তা সম্পাদক ও স্যাটেলাইট উৎসব টিভি প্রতিনিধি সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রিয়াদ এর নামে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাজানো ভিডিও করে প্রচার করার অভিযোগে দৈনিক সংবাদের চাটখিল প্রতিনিধি হাবিবুর রহমানসহ তার ৩ দোসরের বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলা আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার অন্য ২ জন আসামীরা হচ্ছেন চাটখিলের আলোচিত প্রতারক শামছুদ্দিন প্রকাশ শামিম ও বিউটি আক্তার। আলা উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে নোয়াখালী আমলী আদালতে রোববার এই মামলা করেন।

মামলার বিবরনে জানাযায়, সংবাদ পত্রিকার চাটখিল প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান ও তার ২ সহযোগী গত ১৫ জানুয়ারী চাটখিলে এক পঙ্গু রিকশা চালকের নামে ফেসবুকে টাকা চেয়ে আত্তসাত এমন একটি প্যাক ভিডিও তৈরী করে ফেসবুকে বিভিন্ন একাউন্ট তৈরী করে তা ছড়িয়ে দেয়। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

মামলার বাদী সাংবাদিক আলা উদ্দিন জানান, পঙ্গু রিকশা চালকের ঘটনাটি ২০১৬ সালের। যার সাথে আমার নুন্যতমও সম্পর্ক নেই। হাবিবুর রহমান ও শামীমের সাথে আমার ব্যক্তিগত শত্রুতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার উদ্দেশ্য হাবিবুর রহমান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণায় নেমেছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য আমি সর্বোচ্চভাবে আমি প্রস্তুত আছি। আমি মানহানী এবং আইসিটি আইনে হাবিব ও তার দোসরদের মোকাবেলা করবো।

সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রিয়াদ জানান, চার বচর পূর্বে আমি পঙ্গু রিকশাচালক জামাল হোসেনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করি, তখন প্রতিবেদন দেখে অনেক হৃদয়বান ব্যক্তি আমার ও কয়েকজন সাংবাদিক সহ চাটখিলের জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় পঙ্গু রিকশাচালক জামাল হোসেনকে আর্থিক সাহায্য দিতে চায়। তখন চাটখিল পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ উল্লাহ পাটোয়ারী ও কয়েকজন কাউন্সিল এবং চ্যানেল আইয়ের নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আলাউদ্দিন শিবলু ভাই সহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ২০১৭ সালের ঈদের পূর্বে জামাল হোসেনকে দুই ধাপে তিনটি রিক্সা দেওয়া হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। এবং পরে আরো প্রায় এক লক্ষ টাকা জামাল হোসেন এর জন্য সাহায্য আসলে বিভিন্ন ধাপে নগদ ও দৈনিন্দিন বাজার করার জন্য দিয়ে দেওয়া হয়। যাহার সংবাদ তিন বচর পূর্বেই বেশ কয়েকটি ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রচারিত হয়।

আর প্রতারক শামসুদ্দিন শামীম অন্যের ট্রাভেল এজেন্সি (রোজিনা এয়ার ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস) এর মালিক সেজে চাটখিল বাজারের পৌর শপিং কমপ্লেক্স এর নিচতলায় অফিস নিয়ে বসে। আমি সহ অনেকের সাথে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। আমি প্রতারক শামসুদ্দিন শামীমকে রোজিনা এয়ার ট্রাভেলস এর মালিক ভেবে আমার বাবা-মাকে হজে নেওয়ার জন্য সাত লক্ষ টাকা দিলে সে হজে নিতে ব্যর্থ হয়। পরে ইসলামী ব্যাংক চাটখিল শাখায় তার নিজের একাউন্টের সাত লক্ষ টাকার একটি চেক দেয় কিন্তু একাউন্টে টাকা না থাকায় আমি চেকটি ডিজঅনার করে আদালতের মাধ্যমে প্রতারক শামিমকে উকিল নোটিশ দিয়ে এক মাসের সময় দিয়ে আমার টাকা পরিশোধ করতে বলি। এক মাসের মধ্যে আমার পাওনা সাত লক্ষ টাকা পরিশোধ না করলে আদালতে মামলা করি যাহা বর্তমানে নোয়াখালী জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। আইনি প্রক্রিয়ায় প্রতারক শামসুদ্দিন শামীম আমার সাথে না পেরে সামাজিক ভাবে আমার মর্যাদা ক্ষুন করার হীন প্রচেষ্টার অংশহিসেবে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়াতে আমিও সাংবাদিক আলাউদ্দিনের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে সেই কারণে কারণে আমিও আবারো ব্যক্তিগত ভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।