নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীতে তিনটি ভবন লকডাউন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে রক্তবমি ও জ্বরে এক যবুকের মৃত্যু হওয়ায় ভবন তিনটি লকডাউন করা হয়।

ভবন তিনিটি হলো- চৌমুহনী পৌর এলাকার পাবলিক হল সংলগ্ন আজিজিয়া কমপ্লেক্স, ডাক্তার আহসান উল্যা টাওয়ার ও আল মদিনা টাওয়ার ।

শুক্রবার দুপুরে কমপ্লেক্সটির চতুর্থ তলার বাসিন্দা ও বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ জানান, ভবনগুলো থেকে যেন কেউ বের হতে বা কেউ যেন ভবনগুলোয় ঢুকতে না পারে সেজন্যে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহত যুবক চৌমুহনীর একটি ডেন্টাল ক্লিনিকের দন্ত চিকিৎসক শরীফের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। কিছুদিন আগে তিনি ঢাকায় যান। গত তিন দিন আগে জ্বর নিয়ে চৌমুহনীতে ফেরেন। জ্বরের তীব্রতা বাড়লে চৌমুহনী হকার্স মার্কেট এলাকার একটি ক্লিনিকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আউয়ালের কাছে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় পাঠানো হয়।

এরপর কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া শুরু হলে তার পরিবার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আউয়ালকে জানালে তার পরামর্শে ওই যুবককে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আউয়াল জানান, তার গায়ের তাপমাত্রা ছিল ১০০ ডিগ্রি ও বাম পায়ের মাংশ পেশিতে ব্যাথা ছিল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মতো কোনো উপসর্গ তার ছিলনা বলে জানান তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস জানান, নিহত যুবকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনো উপসর্গ ছিলনা। তারপরও তিনি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও একজন মেডিকেল টেকনোলজিসের সহায়তায় তার নমুনা সংগ্রহ করে শুক্রবার সকালে আইইডিসিআর’এ পাঠিয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে জানা যাবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, ওই যুবক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।