
সাইফুল ইসলাম রিয়াদ: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে (different views, সোনাইমুড়ী বিএনপির রাজনীতি, জিয়া সাইভার ফোর্স) নামক আইডি সহ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে “নোয়াখালী নেয়াজপুর মসজিদে মারামারির ঘটনায় বিপুল অস্ত্রসহ দুই শিবিরকর্মী আটক” — এমন একটি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পর নোয়াখালী জেলা পুলিশ এক সচেতনতা বার্তা (Fake News Alert) প্রকাশ করেছে।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে দাবি করা হয়েছে— “নোয়াখালীতে পুলিশের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।”
কিন্তু জেলা পুলিশের ভাষ্যে, এ তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। নোয়াখালী জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এমন কোনো অভিযান বা গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশের বার্তায় বলা হয়েছে:
> “জনগণকে অনুরোধ করা হচ্ছে, কোনো সংবাদ বা ছবি শেয়ার করার আগে অবশ্যই তার সত্যতা যাচাই করুন। ভুয়া তথ্য বা গুজব ছড়ানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যাচাই না করে শেয়ার বা কমেন্ট করে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।”
জেলা পুলিশ আরও জানিয়েছে, কোনো সন্দেহজনক পোস্ট বা সংবাদ চোখে পড়লে তা নোয়াখালী জেলা পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ইনবক্স করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বার্তার শেষাংশে পুলিশ সবাইকে সতর্ক করে বলেছে, “সত্য যাচাই করুন, গুজব নয়। নিরাপদ নোয়াখালী গড়তে পুলিশের পাশে থাকুন।”
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান বলেন, আমাদের পূর্ব ঘোষিত কোরআন প্রশিক্ষণে সন্ত্রাসীরা হামলা করে আমাদের অনেক ভাইকে মারাত্মকভাবে আহত করে, আমরা প্রশাসনের অনুরোধে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। এখন আবার যারা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে তারাই ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি এডিট করা ভুয়া ছবি ছড়িয়ে বট আইডি থেকে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এখনো আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছি আশা করি প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
