
চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের উত্তর রামদেবপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জয়াগ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আবুল খায়েল মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারের উপর হামলা, মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫০) বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর ২০২৫) চাটখিল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে জয়াগ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আবুল খায়েল মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও মরিয়ম বেগমের উপর পুনরায় হামলা করে পূর্বের হামলার সময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ করায় মাদ্রাসা শিক্ষকের মোবাইল সিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে অভিযুক্তরা৷
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসা শিক্ষকের স্ত্রী বাদী মরিয়ম বেগমের সঙ্গে একই বাড়ির সুইটি ইসলাম, আরিফ হোসেন, হামিদা আক্তার ও আলেয়া বেগমের দীর্ঘদিনের ওয়ারিশী সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বৃহস্পতিবার সকালে বিবাদীরা লাঠিসোটা ও ইটসহ দলবদ্ধ হয়ে বাদীর বসতঘরের উঠানে হামলা চালায়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিবাদীরা মরিয়ম বেগমকে কিল-ঘুষি ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। বিশেষ করে সুইটি ইসলামের হাতে থাকা ইটের আঘাতে তার ডান পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। একই সময়ে অন্য বিবাদীরা তার চুল টেনে মারধর ও পরনের কাপড় টানা-হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করে।
বাদীর শোরচিৎকারে তার স্বামী মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আবুল খায়েল মোঃ আব্দুল্লাহ এগিয়ে এলে তাকেও বিবাদীরা মারধর করে। তাঁদের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়।
স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে বিবাদীরা হুমকি দিয়ে বলে, “আইনগত ব্যবস্থা নিলে আরও বড় ক্ষতি করবে এবং বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করবে।”
স্থানীয়দের সহায়তায় মরিয়ম বেগমকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মারামারির বিষয়ে উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
