নোয়াখালীর বার্তাঃ কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আট জন নিহত হয়েছেন। শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। শনিবার সকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় প্রথম দুর্ঘটনা ঘটে।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি বাস সকালে কুয়াশার কারণে ইলিয়টগঞ্জ ব্রিজ এলাকায় একটি ক্যাভার্ড ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় বাসের সুপার ভাইজার। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে নিহত হন বাসের হেলপার।
নিহত হেলপার মানোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার কাজিকান্দার গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে এবং সুপার ভাইজার ফাহাদ আল রাজী ফয়সাল কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ এলাকার মৃত কায়কোবাদের ছেলে।
অন্যদিকে দুপুর সাড়ে ১২টায় মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকায় একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে প্রাইভেট কারের যাত্রী টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুরের মতিয়ার রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির ও একই জেলার টাকুরটাকুর এলাকার আশেক আলীর ছেলে মজিবুর রহমান নিহত হন।
এছাড়া দুপুর আড়াইটায় দাউদকান্দির গৌরিপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি বাস পথচারী এক নারীকে চাপা দিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ওই নারীসহ বাসের দুই যাত্রী নিহত হন। নিহত নারী দাউদকান্দির গোপচর গ্রামের খায়রুল মোল্লার স্ত্রী মহিলা নুরন্নাহার। বাসে থাকা দুই যাত্রী ডুবে মারা যান।
নিহত বাস যাত্রীর একজন দাউদকান্দির কুশিয়ারা গ্রামের শরীফ আলীর ছেলে মো.সুমন। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এছাড়া দুপুর ১টার দিকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টমেন্ট এলাকায় দুর্ঘটনায় উদ্ধারে যাওয়ার পথে হাইওয়ে পুলিশের রেকার চাপায় আনছারি মণ্ডল নামে এক বেদে নারী নিহত হন। তিনি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার সজীব মণ্ডলের স্ত্রী। তিনি একটি মারুতি গাড়ি থেকে পড়ে রেকারে চাকায় চাপা পড়েন বলে স্থানীয়রা জানান।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ ও ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান দুর্ঘটনায় আট জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।