নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ ইমো, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসআপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যৌনতা ও প্রেমের ফাঁদে পেলে প্রবাসীসহ একাধিক যুবকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই কলেজ ছাত্রীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ। এসময় তাদের ব্যবহৃত বিকাশ একাউন্ড ও টাকা জব্দ করা হয়।
রবিবার সকালে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ও জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে মারজাহান আক্তার (১৯), সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের লেদুয়া গ্রামের গোলাম মাওলার মেয়ে শাহজাদি মজুমদার (২০) এবং নোয়াখালী পৌরসভার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের হোসেন আহমদের ছেলে বিকাশ এজেন্ট মোশারফ হোসেন মনু (২৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত দুই কলেজ ছাত্রী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কুয়েত প্রবাসী সাইফুল ইসলামকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রুপের জালে পেলে কয়েক দফায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও তাদের একই জালে পা দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জের মধ্যপাচ্য প্রবাসী তানভির হোসেন, মোস্তফা চৌধুরীসহ একাধিক যুবক। অভিযোগ আছে তাদের কাছ থেকেও কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এ নারী চক্র।
এরসূত্র ধরে শনিবার রাতে কুয়েত প্রবাসী সাইফুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃত কলেজ ছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
নোয়াাখালী সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত কলেজ ছাত্রীরা বিভিন্ন যুবকদের বিয়ে করে ইউরোপে নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। তারা যুবকদের সাথে প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক করে ম্যাসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসআপে যৌনতা করে কৌশলে ছবি, ভিডিও রেকর্ড করে। পরে তা ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। ঘটনায় ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সুধারাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন।