নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় বিচারপ্রার্থী নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঘটনায় এর আগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
বুধবার (০১ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সিনিয়র বিচারক জেলা জজ মোহাম্মদ সামস উদ্দিন খালেদ এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মোজাম্মেল হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করেন। পরে আদালত শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর রাতে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের কাছে বিচার চাইতে তার কার্যালয়ে আসেন এক নারী। পরের দিন ৫অক্টোবর ওই নারীকে আটক রেখে মারধর ও রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেলকে প্রধান ও রবিউল নামের আরো একজনকে আসামী করে চরজব্বর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী। ওই মামলা প্রথমে তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রদান করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরবর্তীতে আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি সহকারি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে পুন:তদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। পুন:তদন্তের পর মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এদিকে ২২ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মোজাম্মেল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছিল।