এইচ.এম আয়াত উল্যাঃ নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ
(ডিব্থির) সাবেক ওসি আতাউর রহমান ভূঁইয়ার বির“দ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন বিষয়ে
দুদকের চলমান তদন্তের নাম ভাঙ্গিয়ে দুইটি জাতীয় পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধিরা
মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার দেশের দুইটি
শীর্ষস্থানীয় জাতায় দৈনিক মানবজমিন ও যুগান্তরের নোয়াখালী প্রতিনিধিরা
“সাবেক ওসি আতাউরের বির“দ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ” শিরোনামে ওই
দুইটি পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও
উদ্দেশ্যেমূলকভাবে তাকে হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে বলে সাবেক ওসি আতাউর রহমান
ভূঁইয়া অভিযোগ করেন। তিনি এবিষয়ে দ্র“ত আদালতের শরণাপন্ন হয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি
আইনে মামলা করবেন বলে জানান। লিখিত অভিযোগে আতাউর রহমান ভূঁইয়া জানান,
বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শুর“তে তিনি নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের
(ডিব্থির) ওসি পদে যোগদান করেন। টানা চার বছর দায়িত্ব পালনকালে তিনি অনেক
বাধা-বিপত্তির মধ্যেও দক্ষতা ও সুনামের সাথে জেলার আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে অস্ত্র, মাদক
উদ্ধার ও খুনীদের গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন মামলার রহস্য উদঘাটনে কর্মতৎপরতা এবং
তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে অপরাধ দমনের বিশেষ ভূমিকায় কাজ করেছেন। একই সাথে
সন্ত্রাস ও মাদক কারবারিদের বির“দ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এসময় তিনি অত্র অঞ্চলের সন্ত্রাসী
ও মাদক বিক্রেতাদের যম হিসেবে আর্বিভূত হন। এতে সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিদের থেকে
সুবিধাভোগী একশ্রেণীর লোকজন তার বির“দ্ধে মিথ্যা উঠে পড়ে লাগে। তার এমন বলিষ্ঠ
কাজে অনেক সাংবাদিক তার প্রশংসা করে জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন
করেছেন। কর্মরত থাকা কালীন মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীগন খুবই আতংকে ছিল
অন্যদিকে, কিছু কথিত সাংবাদিক সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিদের কাছ থেকে আর্থিক
সুবিধা নিয়ে বর্তমানে তার মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করছেন। এরই প্রেক্ষিতে গত
রোববার ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি দৈনিক মানবজমিন ও যুগান্তর পত্রিকায় তার বির“দ্ধে মিথ্যা
সংবাদ পরিবেশন করা হয়। ওই সংবাদে দুদকের চলমান তদন্ত যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এরকম একটি প্রতিবেদনের কথা উলে-খ করে তার বির“দ্ধে বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করা
হয়েছে। প্রতিবেদনের এক জায়গায় উলে-খ করা হয়। তিনি “বর্তমান সরকারের টানা ৪
বছর স্বপদে থেকে বিভিন্ন মানুষকে ইয়াবা ট্যাবলেট পকেটে ঢুকিয়ে ক্রসফায়ারের ভয়
দেখিয়ে বিপুল টাকা অর্জন করেন।” সংবাদের শেষে উলে-খ করা হয় তিনি, “ কবিরহাট
পৌরসভার রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী শাহীনুল ইসলামকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে অস্ত্র ও
ইয়াবা দিয়ে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠান। ওই ঘটনায় তার বির“দ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ,
সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফুঁসে উঠে নোয়াখালী।” তিনি এমন মিথ্যা ও
বানোয়াট তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের অর্জিত সুনাম ও স্বীকৃতি
ক্ষুন্ন করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, দ্র“ত এবিষয়ে ওই দুই পত্রিকার স্থানীয়
প্রতিনিধিদের বির“দ্ধে আদালতে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করবেন তিনি।