নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ দেশের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচারে শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাদ যাননি নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমও।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) forhad Imran নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার আইডিতে নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিমকে জড়িয়ে ইয়াবাসহ আটককৃত ব্যক্তিকে তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে একটি মিথ্যা বানোয়াট স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্যের এইচ এম ইব্রাহিমের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি সাধারণ মানুষের সাথে আমার ছবি থাকতে পারে। এটা তো আমার অপরাধ না। সবাই আমার কাছে আসে ছবি তুলে মিছিল-মিটিংয়ে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে ছবি উঠায় কে কি অপরাধের সাথে জড়িত সেটা তো আমি জানি না। রাতুল নামের যে ছেলে ইয়াবাসহ চট্টগ্রামে আটক হয়েছে সে আমার আত্মীয় নয়। আমিতো তাকে চিনিও না। তিনি আরও বলেন আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় মানুষ। কেউ ফেসবুকে কোন গুজবে কান দিবেন না সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাতুলের বাবা চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রান বিষয়ক সম্পাদক।
সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম দুই ঘন্টা পর তার ফেসবুক
ভেরিফাই আইডিতে তিনি স্ট্যাটাস দেন ।
স্ট্যাটাসটি হুবহু পাঠকের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো:
সম্প্রতি চট্টগ্রামে ইয়াবা সহ চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের রাতুল নামের এক যুবক গ্রেফতার হয়। আমি লক্ষ্য করেছি তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমরা বরাবরই দেখে আসছি যে, কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেফতার হলে অসৎ উদ্দেশ্যে সমাজের কিছু লোক তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে গুজব ছড়ায়। ঠিক তেমনি অসৎ উদ্দেশ্যে চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের গ্রেফতারকৃত যুবককে আমার আত্মীয় বলে মিথ্যা পরিচয় দেওয়া হচ্ছে। আমি পরিস্কারভাবে বলতেছি যে গ্রেফতারকৃত অপরাধীর সাথে আমার কোনো আত্নীয়তার সম্পর্ক নাই এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে দিয়েছি যে অপরাধ করে কেউ গ্রেফতার হবার পর যদি কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা কারো পারিবারিক পরিচয় দেয় তাহলে তাকে যেনো কোনোভাবেই ছাড়া না হয় বরং আরো বেশী করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনের আওতায় আনা হয়। অপরাধ করে কেউই পার পাবেনা, শাস্তি ভোগ করতে হবেই।