নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ মঙ্গলবার বিকেলে চাটখিল পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও কামিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তারে (১৪) গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতী প্রায় শেষ।বিয়ের গেট,রঙ্গিন বাতি, স্টেজ সহ সবই ঠিকঠাক। বুধবার নির্ধারিত ছিল বিয়ের। পাত্র রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের মোহাম্মদ লিটন।পেশায় টাইলস মিস্ত্রী। খবর পেয়েই সাথীদের বাড়িতে হাজির চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল আলম।বন্ধ করে দিলেন মাত্র ১৪ বছর বয়সী সাথীর গায়ে হলুদসহ বাল্য বিয়ের সকল কার্যক্রম। এর আগে সাথীর সহপাঠি ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তার বিয়ে ঠেকাতে সাথীদের বাড়িতে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে জড়ো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাথীর বাবা আবদুলের বাড়ি সুবর্নচর উপজেলার চর জব্বরে। তিনি স্বপরিবারে চাটখিলে ভাড়া বাসায় থাকেন এবং স্থানীয় একটি মাংশের দোকানে কাজ করেন।
এ সময় ইউএনওর সাথে ছিলেন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলী তাহের ইভু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে কুলছুম মনি, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জহুর আহমেদ, চাটখিল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মফিজুল ইসলাম, চাটখিল সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক আবু তৈয়ব, সাংবাদিক মামুন হোসেন ,সাংবাদিক কামরুল ইসলাম কানন, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রিয়াদ প্রমূখ।
ইউএনও দিদারুল আলম বললেন মুজিব বর্ষে চাটখিল উপজেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত করার কর্মসূচী নিয়েছে তার প্রশাসন।
প্রসঙ্গত যে,এই নিয়ে গত কয়েকদিনেই ৩ টি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করেছেন চাটখিল উপজেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত যে,এই নিয়ে গত কয়েকদিনেই ৩ টি বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করেছেন চাটখিল উপজেলা প্রশাসন।