নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিভাগে কর্মরত এক নারী চিকিৎসককে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন বাড়িওয়ালা। অমানবিক এ ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী ডা. আসমা আক্তার জানান, তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তারা সকলেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছেন এবং সরকার নির্দেশিত সকল নিয়ম কানুন মেনে সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সোনাইমুড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে মোহাম্মদ আলী নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে তার ছোট বোনের পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লা। হঠাৎ দু’দিন আগে বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী তাকে ডেকে নিয়ে আর ওই ভবনে যেতে নিষেধ করেন এবং তাকে অপমান-অপদস্ত করেন।
বাড়ির মালিকের ধারণা, তার বাইরে যাওয়া-আসার কারণে তারা করোনা আক্রান্ত হবেন। যানবাহন বন্ধ থাকার কারণে যেহেতু কুমিল্লায় গিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকার সুযোগ নেই, তাই বর্তমানে তিনি সোনাইমুড়ীতে একটি বেসরকারি হসাপাতালে কোনোভাবে দিন পার করছেন বলেও জানান।
ওই চিকিৎসকের স্বামী জানান, তারা বিষয়টি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসিকে অবহিত করেছেন। কিন্তু গত দু’দিনেও তারা কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। ওই নারী যে চিকিৎসক আমি তা জানি না।’
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, ঘটনাটি একেবারেই অমানবিক। এ সংকট মুহূর্তে চিকিৎসকরা নিজের জীবন বাজি রেখে আক্রান্ত মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় একজন বাড়ির মালিকের অমানবিক এ কাণ্ড মেনে নেয়া যায় না।