সাইফুল ইসলাম রিয়াদঃ টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে তাবলীগ জামায়াতের সাথী ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উপর সাদপন্থী ওয়াসিকুল ইসলাম অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীর চাটখিলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলার সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও তাবলীগের সাথীরা।
আজ ১০টার দিকে চাটখিল শহিদ মিনার জামে মসজিদের সামনে এসে জড়ো হন আলেম-ওলামারা ও তাবলীগের সাথীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চাটখিল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আবু সাদেক এর সঞ্চালনায় এসময় সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন জামেয়া ওসমানীয়া মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা মোঃ ইউসুফ, জামেয়া ওসমানীয়া মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মুফতি আসেম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ভিপি লিঠন, সাবেক প্যানেল মেয়র সাহাজান বাবুল, মাওলানা মুফতি খলিল আহমদ, মাওলানা সামসুল আলম, মাওলানা বেলাল আহমদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মুফতি হাবিবুর রহমা, মাওলানা মুহাম্মাদ সুহাইল সহ উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় আলেম-ওলামারা ও তাবলীগের সাথীরা।
বক্তারা বলেন, আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিকালে গত ১ ডিসেম্বর সায়াদ গ্রুপের অনুসারীরা হামলা চালিয়ে তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি ও সাথীদের আহত এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা চাটখিলে শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম, তাবলীগের মুরুব্বি ও সাথীরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। আমরা অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এবং তাদের সামাজিক ভাবে বয়কট করার আহবান করছি।
এ সময় তারা ৫ দফা দাবি পেশ করেন। দাবিগুলো হলো: হামলার নির্দেশদাতা দিল্লির মাওলানা সায়াদ, বাংলাদেশের ওয়াসিকুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন নাসিম, মোশাররফ হোসেন এবং ইউনুস সিকদারসহ হামলার সাথে জড়িত বিভিন্ন জেলা থেকে অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, আসন্ন টঙ্গি ময়দানে ৭-১১ ডিসেম্বরের ৫ দিনের জোড় এবং ১৮, ১৯, ২০ জানুয়ারি এবং ২৫, ২৬, ২৭ জানুয়ারি টঙ্গি ময়দানের বিশ্ব ইজতেমা নির্ধারিত সময়েই করা, ময়দানে নিহতদের ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, অতিসত্ত্বর কাকরাইলের সকল কার্যকলাপ হতে ওয়াসিফ, নাসিম, ইউনুস ও মোশাররফকে গ্রেপ্তার করে যথোপযুক্ত শাস্তি প্রধান এবং
অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে সায়াদপন্থীদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। পাশাপাশি নোয়াখালী এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
সমাবেশ শেষে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।