নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর চাটখিল, সদর ও সেনবাগ উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সকল ধরনের নিয়ম মেনে তাদের লাশ দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার অফ ডিজিজ কন্ট্রোলার (এমওডিসি) ডাক্তার তামজিদ হোসেন বলেন, উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের দেলিয়াই গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূ (৭০) গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ্য ছিলেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ীতে মারা যান তিনি। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে ওই নারীর করোনা উপসর্গ থাকায় মেডিকেল টিম পাঠিয়ে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শনিবার নমুনা পরীক্ষার জন্য আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। রিপোর্ট আসারপর জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না।
এদিকে জেলা শহর মাইজদীর সাতানিপুকুর এলাকার বাসিন্দা (৫০) গত ৬-৭দিন ধরে জ্বর, শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। তিনি একটি বিমা কোম্পানীর ম্যানেজার হিসেবে চৌমুহনী শাখায় কর্মরত ছিলেন। মৃতের স্বজনরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ থাকলেও তিনি হাসপাতাল বা কোন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বাসায় ছিলেন। শুক্রবার সকালে নিজ বাসায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। দুপুরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির পরিবার বা স্বজনদের পক্ষ থেকে কোন খবর না পাওয়ায় তার নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন তার পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
অপরদিকে সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তর রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা (৬০) গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তার পরিবারের লোকজন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি চট্টগ্রামের বারিয়ারহাটে ব্যবসা করতেন।
সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফিরোজ আলম রিগান বলেন, রাতে অ্যাম্বুলেন্স যোগে মৃতের লাশ বাড়ীতে আনলেও করোনা উপসর্গ থাকায় তার দাফনে কোন আত্মীয় স্বজন এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সেচ্ছাসেবীদের নিয়ে মৃত ব্যবসায়ীল লাশ দাফনে এগিয়ে যান তিনি। রাত সাড়ে তিনটার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার লাশ দাফন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই মহামারীতে এমন বিপদে পড়া মানুষের পাশে সেনবাগ উপজেলা ছাত্রলীগ সবসময় থাকবে বলে জানান তিনি।