নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চরহাজারী ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বিকাশের ৯০ লাখ টাকা ছিনতাই নাটক সাজানোর ঘটনায় ম্যানেজারসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বুধবার বিকালে এজেন্ট মালিক ইমন সাহা বাদী হয়ে এজেন্ট ম্যানেজার সুমন মজুমদার (৪০) ও তার সহযোগী শিশির মজুমদারের (৩৬) বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ম্যানেজার সুমন মজুমদার উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সন্তোষ কুমার মজুমদারের ছেলে এবং শিশির চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদ বিহারী মজুমদারের ছেলে।
বিকাশ এজেন্ট এএস কমিউনিকেশন-২ এর মালিক ইমন সাহা বলেন, ম্যানেজার সুমন মজুমদার বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় মুঠোফোনে জানান, ওই এজেন্টের ৯০ লাখ টাকা মোটরসাইকেলযোগে সুমনের শ্বশুর বাড়ি চরহাজারী থেকে বসুরহাট এজেন্ট অফিসে বহন করে আনার সময় ছিনতাইকারীরা নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী থেকে ঘটনাস্থলে এসে ম্যানেজার সুমন মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কথার গরমিলের কারণে সন্দেহ হয়। পরে তার সহযোগী শিশির মজুমদারসহ কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশের শরনাপন্ন হন ইমন।
পুলিশের নানা জিজ্ঞাসাবাদের পর সুমন ও শিশিরের দুই ধরনের বক্তব্য এবং কথিত ছিনতাই ঘটনাটি নাটক বলে মনে হয়েছে। পরে এজেন্ট ম্যানেজার সুমন ও শিশিরকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
ইমন বলেন, ইতোপূর্বেও সুমনের বিরুদ্ধে এ ধরনের টাকা আত্মসাত চেষ্টার একাধিক ঘটনার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত সুমন বলেন, মোটরসাইকেলযোগে আলী আহমেদের বাড়ীর সামনে পৌঁছলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ব্যাগে যে ৯০ লাখ টাকা ছিল তা তিনি জানতেন না বলেও দাবি করেন সুমন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত)রবিউল হক জানান, ৯০ লাখ টাকা বিকাশ ম্যানেজার সুমন আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে ছিনতাই নাটক সাজিয়েছে। তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং টাকা উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে।