বার্তা ডেস্কঃ ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী গত বছর আয় করেছেন প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭ কোটি টাকাই আয় করেছেন তিনি মাছ চাষ করে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামায় এই তথ্য উল্লেখ করেছেন নিজাম। এখানে আয়ের খাত হিসেবে পাঁচটি খাত উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৫০ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮৩ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে মাছ চাষ থেকে, ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার সাতশ টাকা। স্নিগ্ধা ফিসারিজ ও হ্যাচারির স্বত্ত্বাধিকারী তিনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় এসেছে সংসদ সদস্যের পরিতোষিক ও ভাতা থেকে। হিসাবে যোগ হয়েছে ২২ লাখ ২৬ হাজার ৬৫০ টাকা। বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া বাবদ বছরে আয় হয়েছে ১৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত বাবদ আয় হয়েছে ১১ লাখ ২২ হাজার ৩৩৩ টাকা। এর বাইরে কৃষি খাত থেকে আয় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ব্যাংকেও আছে ৯ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ১১১ টাকা।
নিজের পাশাপাশি স্ত্রী নুরজাহান বেগম নাসরিনের আছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত নগদ টাকা ও ব্যাংকে ছিল দুই কোটি ১৪ লাখ ২১ হাজার ৪৫৩ টাকা। তালিকাভুক্ত শেয়ারে তার বিনিয়োগ ৭১ লাখ টাকা। সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে আরও ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬৫৮ টাকা।
৬৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ রয়েছে নিজাম হাজারী। স্ত্রীর নামে ২৭ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে আছে ১৯৬.৭৯ শতাংশ কৃষি জমি। অর্জনকারী সময়ে এক আর্থিক মূল্য ৭ কোটি ১ লাখ ৮২ হাজার টাকার। ৫ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার ৩৪০ টাকার আছে অকৃষি জমি।
৫০ লাখ টাকা মূল্যের একটি তিন তলা বাড়ি ও একটি অ্যাপার্টমেন্টের ৫০ শতাংশ মূল্য ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০ লাখ টাকার আছে একটি মৎস্য খামার।
১৭ লাখ টাকার ৩০ ভরি স্বর্ণ, ১৪ লাখ টাকার আসবাবপত্রও রয়েছে নিজাম হাজারীর।
স্ত্রীর নামে এক কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার পাঁচশ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি, ২ কোটি টাকার একটি ৮তলা নির্মাণাধীন বাড়ি ও একটি অ্যাপার্টমেন্টের ৫০ শতাংশ মূল্য ১ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ১২৫ টাকা। উপহার হিসেবে পেয়েছেন ১ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণ। রয়েছে ১১ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র।
প্রায় ২ কোটি টাকা দেনাও রয়েছেন নিজামের। এর মধ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে তার ঋণ ১ কোটি ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭৪ টাকা। প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে তিনি অর্ধকোটি টাকার বেশি নিয়েছেন।
বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই নিজাম হাজারীর। ইতিপূর্বে আটটি মামলা থাকলেও সাতটিতে খালাস ও একটি বাতিল হয়ে গেছে।