নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে (১৬) এক স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুর রহমান প্রান্ত (১৮) এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবকের সাথে ওই কিশোরীর তিন মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল বলে জানা গেছে। ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার বিকাল ৪টার দিকে ধর্ষীতার ভাবী বাদী হয়ে চাটখিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত আব্দুর রহমান প্রান্ত বানসা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আব্দুর রহমান প্রান্ত স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৬) এর বাড়ীতে গিয়ে তাদের বসত ঘরে ডুকে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে ওই ঘরের জানালা দিয়ে ডাক দিলে প্রান্ত দ্রুত বের হয়ে ঘরের ছাদ বেয়ে লাপিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার বাদী বলেন, গত ৬বছর আগে তার শাশুড়ী মারা যান। তার শশুর, স্বামী ও দেবররা বিদেশে থাকায় ননদকে নিয়ে তারা বাড়ীতে থাকতেন। শনিবার তিনি তার দুই সন্তানকে নিয়ে তাদের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘরের একটি কক্ষে তার ননদ (১৬) এক থাকতেন। রাত দুইটার দিকে তাদের প্রতিবেশী আব্দুর রহমান প্রান্ত বাড়ীতে এসে তার ননদের কক্ষে ডুকে পড়েন। স্থানীয় লোকজন মাছ ধরতে এসে বিষয়টি টের পেয়ে প্রান্তকে আটক করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত তিন মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুর রহমান প্রান্ত তার ননদকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে কিশোরী (১৬) কে ধর্ষণ করেছে আব্দুর রহমান প্রান্ত। ঘটনায় ধর্ষিতার ভাবী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত আব্দুর রহমান প্রান্তকে সোমবার সকালে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।