নোয়াখালীর বার্তা ডটকমঃ নোয়াখালীর হাতিয়ায় নববধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরও তিন আসামি পলাতক রয়েছে।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে আটক দু’জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত গৃহবধূ শাবনুর আক্তার (১৯) হরণি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বয়ারচর নবীনগর গ্রামের নূর ইসলাম বুদ্ধির মেয়ে।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তিন মাস আগে উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের নলেরচরের রহমতপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী বাহার মেস্তরীর ছেলে ফরিদ উদ্দিনের (২৪) সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুকের কিছু টাকা বাকি ছিল। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের ওই টাকার জন্য ও ঘরের আসবাবপত্রের জন্য শাবনুরকে একাধিকবার মারধর করে তার স্বামী।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকালে মোরগকে খাবার দেওয়া নিয়ে নিহত শাবনুরের সাথে তার শাশুড়ি ও ননদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী, শাশুড়ী, ননদসহ শাবনুরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এক পর্যায়ে শাবনুর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেলে পুনরায় তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে নিহতের স্বামী মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে প্রচার করে শাবনুর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের খালু আবুল কালাম ও তার খালা শাবনুরের শ্বশুর বাড়িতে এলে নিহতের স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে শনিবার সকালে নিহতের স্বামী, শাশুড়ি, ননদসহ পাঁচজনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো- নিহতের শাশুড়ি চানন্দি ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী বাহার মেস্তরীর স্ত্রী মিনারা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে নিহতের ননদ মোসাম্মৎ সুমি আক্তর (২৫)।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ দুই আসামিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।